নাগরিকপঞ্জি বা ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেনস (এনআরসি)-এর চূড়ান্ত সময়সীমা এক মাস বাড়াতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছে আসাম সরকার। ১৫ই ডিসেম্বর এর শেষ সময়সীমা। কিন্তু আসামের অনেক মানুষ এখনও এনআরসিভুক্ত হন নি। তাদেরকে সুযোগ দেয়া এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে এনআরসি’র আবেদনকারীদের শতকরা ২০ ভাগের তথ্য পুনরায় যাচাই বাছাইয়ের জন্য এ আবেদন করা হয়েছে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে দুই বিচারকের বেঞ্চের কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার এই আপিল করেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অক্টোবর মাসে এনআরসি’র খসড়া ঘোষণা করা হয়। রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার জন্য সর্বোচ্চ আদালত এই প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছেন। তবে আদালত এর আগে এক শুনানিতে এনআরসির অন্তর্ভুক্তিতে বাদ পড়া জনগণকে নতুন করে আবেদন করার অনুমতি দেন।
আইনজীবী শুভদীপ রায়ের মাধ্যমে করা নতুন আবেদনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত খুব অল্প সংখ্যক মানুষই এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানিয়েছে। এর কারণ হিসেবে চলমান পঞ্চায়েত নির্বাচন অথবা স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (এসওপি), অবেদনের ধরণ এবং অভিযোগ স¤পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবকে উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়া আবেদন এবং অভিযোগের জন্য এনআরসি কর্তৃপক্ষ যে ফরম আপলোড করেছে, সেটি পূরণ করা অনেক ঝক্কির বিষয়। এতে বিশদ তথ্য প্রয়োজন হয়। তাই এই প্রক্রিয়াটি স্বল্প শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত মানুষের জন্য সহজ নয়। এই ফরমের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হয় এবং কাজটি শেষ করা বেশ সময়সাপেক্ষও।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, কোনো আবেদনকারী যদি আগে তথ্য দিয়েও থাকেন, তাহলেও নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে আগের তথ্যের সঙ্গে পুনরায় আবেদন জমা দিতে হবে। এছাড়া এই অল্পসংখ্যক আবেদনের কারণ এটাও হতে পারে যে, এনআরসি কর্তৃপক্ষ হয়ত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সচেতনতা প্রচারণা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়নি।