× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার

 নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর কালু মুন্সির হাটে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দিনগত রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুলিতে আহতরা হচ্ছেন- মো. রাশেদ, আবদুল কুদ্দুস, মো. এমদাদ, রাসেল, নাসির উদ্দিন, মনির হোসেন ও ফারুক। এদের মধ্যে নানুপুর এলাকার খোরশেদ আলমের পুত্র মো. রাশেদ ও সৈয়দ ওসমান জামান কাঞ্চনের পুত্র এমদাদ চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, নৌকা প্রতীক পেয়ে মহাজোট প্রার্থী তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী সমর্থকরা আপেল প্রতীক পাওয়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের সমর্থনকারী উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হকের বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সমপাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
সেখানে সমর্থকদের নিয়ে নানুপুর বাজারে পথসভা করেন এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। এ সময় মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর সমর্থকরা পাল্টা মিছিল শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও নাজিম উদ্দিন মুহুরীর গাড়ি ভাঙচুর করে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর সমর্থকরা। এরপর শুরু হয় গোলাগুলি। এতে দু’পক্ষের ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে এদেরকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এরমধ্যে চিকিৎসার পর চারজনকে ছেড়ে দেয়া হলেও রাশেদ ও এমদাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফটিকছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বাবুল আকতার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় সাত ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ২ ব্যক্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় মামলা করতে আসেনি বলে জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর