চট্টগ্রাম মহানগরীর জেল রোডে আমানত শাহর মাজার জিয়ারত শেষে হেঁটে ফিরছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক, বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান। একই পথ দিয়ে গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যাচ্ছিলেন তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
নোমানকে দেখেই গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন নওফেল। নওফেলকে দেখে বুকে জড়িয়ে নেন নোমান। ভোটের মাঠে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বিপরীতমুখী দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেতার মধ্যে এমন সৌহার্দ্য দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সেখানে থাকা সাধারণ লোকজন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নগরীর জেল রোডের বক্সিরহাট এলাকায় সৌহার্দ্যের এমন ঘটনা ঘটে। যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নগরজুড়ে। মানুষের মুখে মুখে শুরু হয় প্রশংসা। আর এমনটাই আশা করছেন নগরীর সাধারণ মানুষেরা।
নোমানের সঙ্গে থাকা সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের সহসভাপতি সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান সাহেব মাজার জিয়ারত করেছেন। উনার গাড়িটা জেল রোডের মুখে রাখা ছিল। তিনি হেঁটে গিয়ে ওই গাড়িতে উঠবেন, এমন সময় নওফেল সাহেবের গাড়ি যাচ্ছিল। তখন তিনি গাড়ি থামিয়ে নেমে কুশল বিনিময় করেন।
নওফেলের সঙ্গে থাকা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সমপাদক ও কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, নোমান সাহেব নওফেল ভাইকে দেখে বুকে জড়িয়ে নেন। নওফেল ভাই উনার হাত ধরে দোয়া চেয়েছেন। সব মিলিয়ে মিনিট তিনেকের মতো উনারা একসঙ্গে ছিলেন। এক সময়ের ভাসানীপন্থি তুখোড় বামপন্থি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান। কোতোয়ালি-বাকলিয়া আসন থেকে অতীতে তিনি দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একবার হারিয়েছিলেন নওফেলের বাবা সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকেও। ২০০৮ সাল থেকে নোমান আসন পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম-১০ আসনে নির্বাচন করছেন। এবারো তিনি এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছেন।