বর্তমান এমপি, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক এমপি এবং দুই হেভিওয়েট প্রার্থী লড়ছেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে। প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলহাজ ছানোয়ার হোসেন, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও এই আসনের ৪ বারের এমপি মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আলহাজ আবুল কাশেম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী ও জাতীয় পার্টির মনোনীত পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মুনীর। এ আসনে মহাজোটের কে প্রার্থী হবেন এ নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিল আওয়ামী লীগ ও জাপার কর্মীরা। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক তালিকায় নাম ছিল বর্তমান সাংসদ ছানোয়ার হোসেনের। শেষ দুদিন আগে জাপা প্রার্থী শফিউল্লাহ আল মুনীরের নাম পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়। দেখা দেয় আওয়ামী শিবিরে হতাশা। নানা নাটকীয়তার পর শেষদিন ঘোষিত হয় ছানোয়ার হোসেনের নাম। কিন্তু বসে নেই শফিউল্লাহ আল মুনীর।
লাঙ্গল প্রতীকের মিছিল হচ্ছে কখনো মোটরসাইকেল, কখনো সড়ক পথে কখনো শুধু মহিলাদের নিয়ে। শফিউল্লাহ আল মুনীর ইনডেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান। এরশাদের আশীর্বাদে জাপার রাজনীতিতে তিনি ধূমকেতুর মত আবির্ভূত হয়েছেন। পাশাপাশি চলছে নৌকার মিছিল। জাপা থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে সাবেক এমপি আলহাজ আবুল কাশেম সিংহ মার্কা নিয়ে লড়াই করছেন। চারবারের এমপি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী মাহমুদুল হাসান লড়ছেন ধানের শীষ প্রতীকে। চতুর্থবারের মতো নির্বাচন করছেন মুরাদ সিদ্দিকী। তার প্রতীক মাথাল। তিনি প্রথম দু’বার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে এবং গতবার হয়ে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। গত তিনটি নির্বাচনে তিনি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন।