× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইসিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত / সব দলকে অবাধ প্রচারের সুযোগ দিতে হবে

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার

বিতর্কমুক্ত এবং সত্যিকারের একটি নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চেয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে সব দলের বাধাহীন নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ নিশ্চিত হবে। র‌্যালি-সমাবেশ করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। মুক্ত ও যৌক্তিক বিতর্ক গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে মন্তব্য করে মার্কিন দূত বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গত ২৯শে নভেম্বর প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশের মধ্য দিয়ে ঢাকায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিলেও এই প্রথম বাংলাদেশের রাজনীতি এবং নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন আর্ল রবার্ট মিলার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন নয়া দূত। সিইসি’র সঙ্গে মার্কিন দূতের বৈঠকে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, প্রায় ১০ কোটি ৪০ লাখের মতো বাংলাদেশি বিশাল গণতান্ত্রিক এ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছেন।
যা যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে তার উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল, জোট বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না বরং তার দেশ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আসন্ন নির্বাচনে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করছে। এ সময় নির্বাচনটি পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার কথাও জানান রাষ্ট্রদূত। বলেন, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) নির্বাচনটি পর্যবেক্ষক করছে।

ইতিমধ্যে গত অক্টোবরে এনডিআইয়ের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে গেছে। সেই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরে সংস্থাটির দ্বিতীয় টিম নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মূল্যায়ন রিপোর্ট তৈরি করেছে। পর্যবেক্ষণে মার্কিন প্রতিষ্ঠান এনডিআইয়ের সহ অংশীদার ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন’। এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন ২ জন নির্বাচনী বিশ্লেষক ইতিমধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রেরণ করেছে। সেই সঙ্গে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি আরো কিছু আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে। রবার্ট মিলার জানান, মার্কিন দূতাবাস থেকে সারা দেশে পৃথক পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করা হবে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা নিয়ে তারা ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অর্থায়ন করবেন। সুশীল সমাজের সহযোগিতায় এই পর্যবেক্ষকরা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) হয়ে কাজ করবেন। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার তাগিদ দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সকলের অবাধ এবং পূর্ণ অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকতে হবে। প্রত্যেকের রাজনৈতিক মত মুক্তভাবে প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক দল ও জোটের প্রচারণার সমান সুযোগ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে ভোটারদের কাছে তাদের পৌঁছাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দিতে হবে। মার্কিন দূত বলেন, শক্তিশালী গণতন্ত্র বিকশিত হয় প্রতিনিয়ত প্রাণবন্ত বিতর্কের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যেটি গণতন্ত্রের জন্য জরুরি।

বিশেষ করে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বিরোধী দলের রাজনীতিকদের নিজেদের মতপ্রকাশ এবং নীতি পরিবর্তনে সহযোগিতার জন্য। প্রত্যেক দলকে, যে যে রাজনৈতিক মতাদর্শের হোক না কেন, সকলকে শান্তিপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সকল পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করতে হবে। এ সময় সহিংসতার কুফল সম্পর্কেও সতর্ক করেন মার্কিন দূত। বলেন, সহিংসতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পন্ন করে যারা গণতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর