× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদার প্রার্থিতা /হাইকোর্টেও বিভক্ত আদেশ

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার

প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বৈধ হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিলেও অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে প্রার্থিতার বিষয়টি নিষ্পত্তি হলো না। এখন রিট আবেদন নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত যাবে। তৃতীয় কোনো বেঞ্চে নিষ্পত্তির জন্য পাঠাবেন প্রধান বিচারপতি।

ওদিকে কাল বৃহস্পতিবারই হচ্ছে অবকাশের আগে সুপ্রিম কোর্টের শেষ কর্মদিবস। ওইদিনের কার্যদিবস শেষে ১৭ দিনের অবকাশকালীন ছুটি শুরু হবে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে।

সোমবার আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তাকে সহায়তা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত ঘোষ।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদেশের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই পক্ষপাতিত্ব করছে। এটি ঠুঁটোজগন্নাথে পরিণত হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে এসেছিলাম। প্রিজাইডিং বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছেন। রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। এরপর তৃতীয় বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা আশা করছি, তৃতীয় বেঞ্চে আমরা ন্যায়বিচার পাব। সঠিক সিদ্ধান্ত পাব।’

অ্যাটির্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘যেহেতু দুজন বিচারপতি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি, সেজন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি পরবর্তী বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত উনি (খালেদা জিয়া) কোনো আদেশপ্রাপ্ত হননি।’

দণ্ডিত হয়েও ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা কীভাবে নির্বাচন করছেন জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, ‘নাজমুল হুদার ব্যাপারে আমি জানি না, কোন যুক্তিতে তাকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তার কাগজপত্র না দেখে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’ তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

গত সোমবার খালেদা জিয়ার এ রিট আবেদনের শুনানিতে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের’ আইনজ্ঞ ইরিনি মারিয়া গোনারি। এজলাসের শেষ সারিতে দাঁড়িয়ে তিনি উভয় পক্ষের আইনগত যুক্তি ও আদালতের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ (২) (ঘ) রিট আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালত বলতে বিচারিক আদালতের রায় হবে না। কারণ বিচারিক আদালতের রায়ই চূড়ান্ত নয়। আরো দুটি পর্যায় রয়েছে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির জন্য। সর্বোচ্চ আদালতে দণ্ডিত ও সাজা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই। দুটি মামলায় বিচারিক আদালতে সাজা হয়েছে। একটিতে হাইকোর্টে সাজা হয়েছে। কিন্তু দণ্ড ও সাজা চূড়ান্ত হবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। যেহেতু রিট আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) ইতিমধ্যে আপিল করেছেন এবং এ আপিল বিচারাধীন সেহেতু তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্য।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) শুনানিতে পড়া শেষ করে বলেন, এ রিট আবেদন চলতে পারে না। দণ্ডিতরা আপিল করে স্থগিতাদেশ পেল আর নির্বাচনে অংশ নিল এটা সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) এর পরিপন্থি। এখন এ রিটেও যদি আবেদনকারীকে নির্বাচনের অংশ নেয়ার আদেশ দেয়া হয় তাহলে সেটা হবে সংবিধানের লঙ্ঘন।  
এর আগে গত ৮ই ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে অপর তিন কমিশনার মনোনয়ন বাতিলের পক্ষে রায় দিলেও কমিশনের সদস্য মাহবুব তালুকদার মনোনয়ন বহালের পক্ষে রায় দেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্তে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। গত রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত ও আপিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি দায়ের করেন তার আইনজীবীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর