× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিএফইউজে ও ডিইউজে’র বিক্ষোভ সমাবেশে /৪৮ ঘন্টার মধ্যে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার আল্টিমেটাম

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) ডিসেম্বর ১২, ২০১৮, বুধবার, ৮:২১ পূর্বাহ্ন

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ গণমাধ্যমগুলো খুলে দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএফইউজে ও ডিইউজে। ৫৪টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ আল্টিমেটাম দেন। তারা বলেন, সম্প্রতি ৫৪টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে। এর আগে আমার দেশ পত্রিকা, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি ও চ্যানেল ওয়ানসহ অসংখ্য মিডিয়া বন্ধ করা হয়েছে। আমরা এসব বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে আমরা কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো। বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএফইউজে মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজে সহ-সভাপতি নূরুল আমিন রোকন ও মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য সাদ বিন রাবী, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন-ক্র্যাবের সভাপতি সালেহ আকন বক্তব্য দেন। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল তোপখানা রোড প্রদক্ষিণ করে।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, ভোটারবিহীন সরকার তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই ৫৪টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করেছে। এছাড়্ াএর আগেও আমার দেশ পত্রিকা, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি ও চ্যানেল ওয়ানসহ অসংখ্য মিডিয়া সরকার বন্ধ করেছে। এর ফরে হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছে। পাশাপাশি সাংবাদিক সমাজসহ দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। এ সরকার গণমাধ্যম বিরোধী। এই সরকারের বিদায় ছাড়া স্বাধীন গণমাধ্যম সম্ভব নয়। এম আবদুল্লাহ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদি সরকার ক্ষমতায় আসলেই আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হয়। সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন ও বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার জন্য আমরা দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ আন্দোলন সংগ্রাম করছি। কিন্তু সরকার কোনো কর্ণপাত করছে না। একের পর এক মিডিয়া বন্ধ করে বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। বর্তমানে মনে হয় আমরা পুলিশি রাষ্ট্রে বসবাস করছি। পুলিশ একটি তালিকা পাঠাবে আর মিডিয়া বন্ধ হয়ে যাবে তা মেনে নেয়া যায় না। কাদের গনি চৌধুরী বলেন, একের পর এক মিডিয়া বন্ধ করে সরকার ফ্যাসিবাদের পরিচয় দিচ্ছে। সরকারের অপকর্ম যেনো প্রকাশ না করতে পারে এজন্যই ৫৪টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করেছে। আমরা অবিলম্বে সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া জোর দাবি জানাচ্ছি। ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে। শহিদুল ইসলাম বলেন, কেউ যেনো সরকারের সমালোচনা করতে না পারে এজন্য বেছে বেছে মিডিয়া বন্ধ করছে। এরই অংশ হিসেবে ৫৪টি মিডিয়া বন্ধ করেছে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই সরকার বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। অবিলম্বে বন্ধ সকল মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যত্থায় কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর