× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মানিকগঞ্জ-২ / শরিক দলের প্রার্থী নিয়ে অস্বস্তিতে আওয়ামী লীগ

বাংলারজমিন

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

 মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর-সদরের আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের প্রার্থিতা চূড়ান্ত হলেও শঙ্কা কাটছে না শরিক দল নিয়ে। মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আবদুল মান্নান, যুক্তফ্রন্ট থেকে সাবেক মন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন ও তরীকত ফেডারেশন থেকে লায়ন অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমেদ স্ব স্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামায় অস্বস্তিতে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এদিকে শরিক দলের প্রার্থীরা মাঠে থাকায় ক্ষমতাসীনরা দলের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেছেন, জোটের প্রার্থীরা মাঠে থাকা মানে হচ্ছে- রাজনৈতিক কৌশল। আগামী ২০শে ডিসেম্বরের মধ্যে শরিক দলের নির্বাচনী মাঠে থাকা না থাকা বোঝা যাবে। কাটবে রাজনৈতিক সংকট।  তবে শরিকদলের প্রার্থীদের ভিন্ন মত। তাদের ভাষ্য, উন্মুক্ত আসন হিসেবে এ আসনটিকেও ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মধ্যে দিয়ে নির্বাচিত হবে এ আসনটির আগামী কর্ণধার। এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগমকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করায় কেউ দলের ভিতর থেকে বিদ্রোহী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি।
দায়িত্বশীল নেতাদের ভাষ্যানুযায়ী, আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়ে মমতাজের পক্ষে মাঠে নেমেছে। এলাকার উন্নয়নের কথা চিন্তা করে শরিক দলের কোনো প্রার্থীকে ভোট দিবেন না সাধারণ ভোটাররা। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার প্রার্থী মমতাজের বিকল্প নেই বলে তারা জানান। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেন, গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হই। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে দলের হাল ধরি। এখন দল অনেক শক্তিশালী। আগামীতে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ৫ গুণ উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবো ইন্‌শাআল্লাহ। অপরদিকে, জাতীয় পার্টি থেকে লাঙল প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আবদুল মান্নান। তিনি গত সোমবার তার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। এ প্রসঙ্গে এসএম আবদুল মান্নান বলেন, ২০০৮ সালের  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। দলীয় সিদ্ধান্তে গত নির্বাচনে অংশ নেইনি। আমার জনপ্রিয়তার কারণে এবার আসনটিতে মহাজোট উন্মুক্ত নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি বিপুল পরিমাণ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবো। শরিক দলের আরেক প্রার্থী গোলাম সারোয়ার মিলন সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীর বিকল্প ধারায় সদ্য যোগ দিয়ে আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। এ নিয়ে তিনি কয়েক দফায় বিভিন্ন দলের খোলস পাল্টালেন। এবার তিনি যুক্তফ্রন্টের শরিক দল বিকল্প ধারার কুলা প্রতীক নিয়ে এ আসনে নির্বাচন করছেন। তিনি তার কর্মী সমর্থক নিয়ে গণসংযোগও করছেন। এ আসনে মহাজোটের শরিক দল বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ) থেকে মনোনয়ন পেয়ে ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন লায়ন অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমেদ আসিফ। ইতিমধ্যে এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন তিনি। অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আসিফ সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী।
ডাবল এমএ পাস আসিফ বর্তমানে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। প্রার্থী হয়ে চষে বেড়াচ্ছেন পাড়া-মহল্লা। এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমেদ আসিফ বলেন, ক্ষমতাসীন মহাজোট এ আসন উন্মুক্ত করায় শরিক দল হিসেবে আমি আমার দল বিটিএফ হতে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর