× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চ্যাম্পিয়নের পর রানার্সআপেরও বিদায়

খেলা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে শিরোপাধারী আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের পর গতবারের রানার্সআপ চট্টগ্রাম আবাহনীও বিদায় নিলো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারায় শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। সেমিফাইনালে ২০১৩ আসরের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেলের বিপক্ষে লড়বে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আগের দিন ব্রাদার্সের কাছেই কোয়ার্টার ফাইনালে হার দেখে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ। শেখ রাসেলের ডাগ আউটে সাইফুল বারী টিটু রক্ষণাত্মক ফুটবল কোচ হিসেবেই বেশি পরিচিত। গতকাল তার সাবেক দল চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে শুরু থেকে রক্ষণাত্মক ফুটবলই খেলে শেখ রাসেল। আর সেই সুযোগে বেশ কিছু আক্রমণ সানায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু গোল আদায় করে নিতে পারেনি তারা।
উল্টো ৩৫ মিনিটে সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেয় টিটুর শিষ্যরা। বিশ্বনাথ ঘোষের ক্রসে এক সতীর্থ হেড করার পর জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন উজবেকিস্তান ফরোয়ার্ড আজিজভ আলিশের। লিড নিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করা শেখ রাসেল তিন মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে। বিপুল আহমেদের ক্রস প্রতিপক্ষের মুফতালাওয়াল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তার পায়ে লেগে পেয়ে যান বাম দিকে থাকা রাফায়েল ওডোইন। আর ডি-বক্সে ঢুকেই বাম পায়ের কোনাকুনি শটে নিশানা ভেদ করেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চট্টগ্রাম আবাহনীর শেষ রক্ষা হয়নি। দলের নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড মোমোদু বাহ, মাগালান আওয়ালার গোলের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিতে হয় তাদেরকে। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ডি-বক্সের খুব কাছ থেকে পাওয়া ফ্রি-কিক কাজে লাগাতে পারেনি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচ শেষে শেখ রাসেল কোচ টিটু বলেন, ‘গত দুই ম্যাচে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এই ম্যাচে জয়ের কৃতিত্বটা খেলোয়াড়দের। দ্বিতীয়ার্ধে আমি তাদের বলেছি, তোমরা ২-০ তে এগিয়ে থেকে ম্যাচ জিতে গেছো এমন মনোভাব রাখা যাবে না। আবার শূন্য থেকে শুরু করো। দ্বিতীয়ার্ধে লং পাসে খেলা হয়েছে। তাই তারাও গোলের সুযোগ পায়নি আমরাও পাইনি।’ গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে একটি গোলও করতে পারেনি শেখ রাসেল। গোলশূন্য দুই ড্রয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে তারা। আর নকআউট পর্বে ২-০ গোলের দারুণ জয়ে উজ্জীবিত শেখ রাসেলের চোখ এবার ফাইনালে। গতবার চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচের দায়িত্বে ছিলেন টিটু। আজ কোয়ার্টার ফাইনালে বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখি হবে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর