গাজীপুর-১ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা ও ভাঙচুরের পর একটি গাড়িতে দ্রুত বদলে যায় নির্বাচনী প্রতীক। ভাঙচুরের আগে গাড়িটিতে লাগানো ছিল ধানের শীষ মার্কার প্রতীক। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ধাওয়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়িটি ফেলে রেখে এলাকা ছেড়ে চলে গেলে দ্রুত ধানের শীষের পোস্টার বদলে দিয়ে তাতে লাগানো হয় অনেক নৌকার স্টিকার। এমন অভিযোগ তুলছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। নৌকার স্টিকার লাগানো গাড়িটি ভাইরাল হতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কালিয়াকৈর বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, গাজীপুর-১ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী বুধবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে গণসংযোগ শুরু করেন। দলের নির্বাহী সদস্য শ্রমিক নেতা হুমায়ুন কবির খানসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সফিপুর কাঁচাবাজারে গণসংযোগ শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাজারের পাশ দিয়ে প্রায় অর্ধশত যুবক মোটরসাইকেল দিয়ে মহড়া দিতে থাকেন, জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে। কাঁচাবাজারের ভেতরে গণসংযোগ শেষ করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বাজারের পাশের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশের মার্কেটগুলোতে গণসংযোগ শুরু করতে চাইলেই বাধার মুখে পড়েন।
ওই মোটরসাইকেল আরোহী যুবকদের সঙ্গে আরো যুবকরা জড়ো হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। এ সময় এলোপাতাড়ি মারধরে বেশ কয়েকজন আহত হন। নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিয়ে তাদের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে ধাওয়ায় তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী নিজে ও তার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে উপজেলা সদরের দিকে চলে যান। সড়কের পাশেই পড়ে থাকে ভাঙচুর করা একটি মাইক্রোবাস। যার ভেতরে তানভীর সিদ্দিকী নির্বাচনী লিফলেটের বান্ডেল ছিল, গাড়িটির সামনের ও পেছনের গ্লাসে লাগানো ছিল তানভীর সিদ্দিকীর ছবি সংবলিত ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার। বিএনপির নেতাকর্মীরা ধাওয়া খেয়ে চলে গেলেও ভাঙচুর হওয়া একটি গাড়ি সড়কের ওপর পড়ে ছিল। এর ছবি তুলতে গেলেও সাংবাদিকরা পড়েন তোপের মুখে। নাজেহাল করা হয় কয়েকজন সাংবাদিককে। অনেকটাই নির্বাক ছিলেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
ওই হামলার পর পর নির্বাচনী গণসংযোগ স্থগিত করে কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী। এতে এই ঘটনার বিচার দাবি করেন।