আইজিপির কাছে নির্বাচন পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে এক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল গতকাল বিকালে আইজিপির সঙ্গে দেখা করতে যান। দলের অন্যরা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ুম ও মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম ও বিজন কান্তি সরকার। বৈঠক শেষে সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বিভিন্ন প্রার্থী বিশেষ করে মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. মঈন খানসহ আরো বেশ কিছু নেতার প্রচারণায় বাধা দেয়া হয়েছে। তাদের গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। কোথাও আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এভাবে আমাদের প্রার্থীদের প্রচারণায় বিভিন্নভাবে বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে।
এ ছাড়া সারা বাংলাদেশে ব্লক রেইট করে গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করার পর জামিন দেয়া হচ্ছে না। বরং যারা জামিনে আছেন তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের কথা বলে আবার গ্রেপ্তার করে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি চায় একটি সুন্দর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। কিন্তু সেখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমরা যাতে নির্বাচনী প্রচারণা করতে না পারি, আমরা যাতে কোনো এজেন্ট না রাখতে পারি এবং আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে মাঠে কাজ করতে না পারে ইচ্ছা করে সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। আমরা সিইসির কাছে গিয়েছিলাম তিনি বলেছেন, তিনি বিব্রত, জানার পরও কিছু করতে পারছেন না। সেলিমা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনকালীন সময় প্রশাসন থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিন্তু কার্যত সেটা হচ্ছে না। নির্বাচনের আর মাত্র ১৮ দিন বাকি তাই আমরা আইজিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছি। এ সময়টা যেন আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেয়া হয়, গ্রেপ্তার-হয়রানি করা না হয়, নেতাকর্মীকে যেন মাঠে থাকতে দেয়া হয় এবং এজেন্ট নিয়োগ করে যেন আমরা একটি সুষ্টু নির্বাচন করতে পারি। দাবির বিষয়ে আইজিপি কি আশ্বাস দিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সেলিমা রহমান বলেন, আইজিপি বলেছেন তিনি ২/১টি ঘটনার কথা শুনেছেন। এমনটি হবে তারা সেটি ভাবেননি। তবে এখন থেকে যাতে আমরা সুন্দরভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারি সে ব্যাপারে তিনি আমাদের কথা দিয়েছেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে সেলিমা বলেন, পুরনো মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি নতুন মামলা দেয়া হচ্ছে। চাঁদপুর-৪ আসনে হামলার কারণে আমাদের ২৫০ নেতাকর্র্মীর নাম এজাহারে উল্লেখ করে এবং আরো অনেককে অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় অন্যদের দেখানো হবে। অথচ যারা হামলা করল তাদেরকে মামলা-গ্রেপ্তার কিছুই করা হচ্ছে না। আমরা আইজিপিকে বলেছি নির্বাচন পর্যন্ত যে কয়টা দিন আছে সেই দিনগুলোতে যেন আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার হয়রানি করা না হয়। তিনি বলেন, আইজিপি আমাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।