বাংলাদেশের বিরোধী বিএনপির নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রুহুল কবির রিজভী বিবিসিকে বলেছেন, 'কর্মসংস্থান নিয়ে হতাশ, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত' তরুণদের প্রচারণার প্রধান টার্গেট করা হবে।
সরকারি বিভিন্ন হিসাবে বলা হচ্ছে, এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা দুই কোটির মতো। নতুন এই তরুণ ভোটাররা ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাই প্রধান দুই দলের টার্গেট হচ্ছেন এই নতুন ভোটাররা।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী খোলাখুলি বলছেন, "তরুণদের সবচেয়ে বেশি ফোকাস করছি আমরা।"
"দেশে বিনিয়োগ হচ্ছেনা। কর্মসংস্থানের প্রচণ্ড অভাব। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণরা কর্মসংস্থান নিয়ে হতাশ, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।"
মি রিজভী বলেন, তাদের ম্যানিফেস্টো বা নির্বাচনী ইশতেহারের ভিত্তি হবে বিএনপি'র ভিশন-২০৩০, যেটি বেশ আগেই প্রকাশ করা হয়েছ।
"কীভাবে গণতান্ত্রিক সুশাসন গড়ে তুলবো সে ব্যাপারে আমরা আগেই এই ভিশন-২০৩০ মানুষকে জানিয়েছিলাম। তার আলোকের হবে আমাদের এবারের ইশতেহার।"
অনলাইন, সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যম ব্যবহার নিয়ে বিএনপিবিএনপি নেতা বলেন, চাইলেও প্রচলিত গণমাধ্যম এবং অনলাইনে তাদের নির্বাচনী বার্তা প্রচারে তারা ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন।
"অন্য কারো এজেন্ডা যাতে মানুষের কাছে না যেতে পারে, সরকার তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দিচ্ছে। যে ৫৪টি পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে, তার অনেকগুলো বিএনপি এবং ঐক্য ফ্রন্টের বক্তব্য প্রচার করছিল, এটা টের পেয়েই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে।"
মি রিজভী বলেন, মালিকানা এবং সরকারি হুমকি-ধামকির কারণে সংবাদপত্র এবং বেসরকারি টিভিগুলোও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না বা করতে পারছে না।
সুত্রঃবিবিসি।