× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রচারণায় বাধা, জীবন শঙ্কায় ফজলুর রহমান

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

মিঠামইন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরকে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করে জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের বিএনপি প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান। শহরের বড়বাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান বলেন, আমার জীবন বিপন্ন। সেই বিপন্ন জীবন নিয়েই আমি চলাফেরা করছি। আমি নিহত হলেও হয়তো বা তার বিচার হবে না, যেমন ইলিয়াস আলী সহ অনেকেরই বিচার হয়নি। কিন্তু আমি আমার মৃত্যুর শেষ পর্যন্ত শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ভাটি এলাকা ছেড়ে আসবো না, নির্বাচন করে আসবো।
ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, ভোটের মাঠে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কোন ধরনের মামলা না থাকার পরও মিঠামইন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরকে পুলিশ আটক করেছে। কেবল জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরকে আটকই নয়। বুধবার রাতে মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিয়ার বাড়িতেও পুলিশ হানা দিয়েছে।
কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাবের বাসায় পুলিশ হানা দিয়েছে। এর কারণ হলো, পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনী প্রচারণার জন্য শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত মিঠামইন উপজেলায় আমি অবস্থান করব। এই কারণে মিঠামইন উপজেলার প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে এবং অত্যাচারে অত্যাচারে জর্জরিত করছে। এত অত্যাচারের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৪ নির্বাচনী এলাকায় আমাকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। আমি জাহাঙ্গীরের মুক্তি চাই। এই মুহূর্তে আমার এলাকাতে পুলিশি নির্যাতন বন্ধ হউক, এটা চাই। যে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, সেই গণতন্ত্র আজ লুপ্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করে ফজলুর রহমান বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় পদে পদে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। আমার ইটনার প্রধান নির্বাচনী অফিস সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। ইউএনও সাহেব নিজে এসে পুলিশ নিয়ে অফিসটি সিলগালা করে দিয়েছেন। সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা খোদ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমাকে পাঁচ জনের বেশি লোক নিয়ে চলতে পারব না বলে নির্দেশ দিয়েছেন। এই আইন কোথায় আছে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে বলেছেন, ‘আরপিও বুঝি না, আমি যা বলি তাই আইন। বিনাবাক্যে আপনাকে আমার কথা শুনতে হবে।’ ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমার স্ত্রীর সাথেও কথাবার্তায় অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আমিরুজ্জামান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন প্রমুখসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর