খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে জোটের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মুহাম্মদ লিয়াকত আলী সরদার বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে পাইকগাছা-কয়রা’র ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা অসহনীয় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অর্ধশতাধিক গায়েবি মামলায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকা পাইকগাছা-কয়রার এমপি প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদও নির্মম নির্যাতনের শিকার। সরকার তার জনপ্রিয়তার ভয়ে তাকে বারবার কারারুদ্ধ করছে। তিনি বলেন, মানুষের বাক-স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে এবং জোট নেত্রী খালেদা জিয়া ও নেতা-কর্মীদের মুক্তির আন্দোলন হিসেবে ২০ দলীয় জোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
যার অংশ হিসাবে খুলনা-৬ আসন থেকে জোটের প্রার্থী হিসাবে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান বাবু’র নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত আচারণবিধি লঙ্ঘন করে ধানের শীষ প্রতীকের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে। জোটের এ নেতা সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা গোলাম সরোয়ার, কাজী তমজিদ আলম, মাওলানা আমিনুল ইসলামসহ জোটের নেতা-কর্মীরা।