আবারো সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হার নিয়ে স্বপ্ন ভাঙলো বাংলাদেশের। গতকাল এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপের সেমিফাইনালে লঙ্কানদের কাছে ৪ উইকেটে হার দেখে অধিনায়ক সোহানের বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম। আসরের প্রথম সংস্করণে নিজ মাটিতে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার নিয়েই স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশের। কলম্বোয় গতকাল অপর সেমিফাইনালে শুরুতে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে গুঁড়িয়ে ৩ উইকেটের অনায়াসে জয় পায় ভারত। আগামীকাল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে ভারত ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর রণসিংহ প্রেমাদাসে মাঠে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর ১০ ওভারের মধ্যেই ৪১ রানে ৩ উইকেট হারায় সোহান বাহিনী। তবে শেষ পর্যন্ত মিজানুর রহমান ও ইয়াসির আলীর অর্ধশতকে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ৪৯.১তম ওভারে ২৩৭ রানে থামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ইনিংস।
জবাবে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে লঙ্কান ওপেনার হাসিথা বয়াগোডাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পেসার শফিউল ইসলাম। ব্যক্তিগত ৭ রানে লঙ্কান ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান আভিস্কা ফারনান্ডোকে সাজঘরে ফেরান অফস্পিনার নাঈম হাসান। তবে ৩৭ বলে ৪৭ রান করেন শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের বাইরে থাকা ওপেনার সানদুন বীরাক্কোডি। ১০.২তম ওভারে দলীয় ৫৯ রানে অফস্পিনার আফিফ হোসেনের ডেলিভারিতে ক্রিজ ছেড়ে হাঁকাতে গেলে বীরাক্কোডিকে স্টাম্পিং করেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। আর ২০তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৮৭ রানে শরিফুল ইসলামের বলে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দেন লঙ্কান দলের অধিনায়ক শামু আশান। তবে পঞ্চম উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন শেহান জয়াসুরিয়া ও কামিন্ডু মেন্ডিস। ৩২তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৫৩ রানে শেহান সাজঘরে ফিরলে ভাঙে বিপজ্জনক জুটি। ফিল্ডিংয়ে বাধা দেয়ার দায়ে শেহানকে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। তবে শেষ পর্যন্ত একপ্রান্ত আগলে রেখে ৮৮ বলে ৯১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন কামিন্ডু মেন্ডিস। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গতকাল ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই লঙ্কান পেসার করুনারত্নের বলে উইকেট খোয়ান জাকির হাসান। শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের বাইরে থাকা আসেলা গুনারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই ওপেনার। সপ্তম ওভারে গুনারত্নে সাজঘরে ফেরান নাজমুল হোসেন শান্তকে। একাদশ ওভারে শেহান জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। পরে ৭২ রান করে রানআউট হন ওপেনার মিজানুর রহমান। ৯৫ বলের ইনিংসে মিজানুর রহমান হাঁকান ৭টি চার ও একটি ছক্কা। ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে ৭২ বলে ৬৬ রান করেন ইয়াসির আলী। এতে ছিল তিনটি চার ও একটি ছয়ের মার। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেন ৩৯ রান। চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েন মিজানুর রহমান। আর পঞ্চম উইকেটে মিজানুর-ইয়াসির জুটিতে স্কোর বোর্ডে যোগ হয় ৫২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরটস: শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল, ফিল্ডিং
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ৪৯.১ ওভার; ২৩৭ (মিজানুর ৭২, জাকির ১, শান্ত ১০, সোহান ৮, মোসাদ্দেক ৩৯, ইয়াসির ৬৬, আফিফ ১৪, নাঈম ৫, শফিউল ৬, শরিফুল ১*, তানভীর ১, করুনারত্নে ৪/৩১)।
শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল: ৪৮.২ ওভার; ২৪১/৬ (মেন্ডিস ৯১*, বীরাক্কোডি ৪৭, শেহান ৩৯, শরিফুল ২/৫০, আফিফ ১/৩৭, নাঈম ১/৩৯, শফিউল ১/৫০)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল ৪ উইকেটে জয়ী