৩-৩ গোলের নাটকীয় ড্র আর ২ লাল কার্ড। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে আয়াক্স আমস্টারডাম ও বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যকার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণী ম্যাচের ঘটনা এটি। তখন ম্যাচে ১-১ সমতা। উড়ে আসা বলের দখল নিতে কারাতে ভঙ্গিতে আয়াক্সের আর্জেন্টাইন লেফটব্যাক নিকোলাস টাগলিয়াফিকোর মাথায় কিক মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন জার্মান তারকা টমাস মুলার। ম্যাচে ছড়ায় উত্তেজনা। তার আগে বায়ার্ন মিডফিল্ডার লিওন গোরেজকার গোড়ালিতে বাজে ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন আয়াক্স সেন্টারব্যাক ম্যাক্সিমিলিয়ান উবার। ৬৭ মিনিটে স্বাগতিক আয়াক্স দশজনের দলে পরিণত হওয়ার ৮ মিনিট বাদেই একই অভিজ্ঞতা নেয় বায়ার্ন। শেষ ১৩ মিনিটে হয় ৪ গোল।
এর দুইটি গোল আসে পেনাল্টি থেকে। আয়াক্সের হয়ে সার্বিয়ান মিডফিল্ডার দুসান টাডিচ বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেন পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদোস্কি। আর বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে (৬) টপকে গ্রুপ পর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসেন লেভানদোস্কি (৮)। ৮২ মিনিটে স্পট কিক থেকে আয়াক্সকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন টাডিচ। পাঁচ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে বায়ার্নকে ম্যাচে ফেরান লেভানদোস্কি। ৯০ মিনিটে ফ্রেঞ্চ উইঙ্গার কিংসলে কোম্যানের গোলে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা। আর ইনজুরির সময়ের পঞ্চম মিনিটে টাগলিয়াফিকোর গোল থেকে হার এড়ায় স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটে লেভানদোস্কি ও ৬১ মিনিটে গোল পান টাডিচ। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে বায়ার্নের বিপক্ষে অপরাজিতই রইলো আয়াক্স (৩ জয়, ৩ ড্র)। আর চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ২০০৮-০৯ মৌসুমের পর এই প্রথম গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থাকলো বায়ার্ন। ‘ই’ গ্রুপে ৬ ম্যাচে বায়ার্ন ও আয়াক্সের পয়েন্ট যথাক্রমে ১৪, ১২। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে বেনফিকা। ৬ ম্যাচেই হার দেখে গ্রিক ক্লাব এইকে অ্যাথেন্স।