× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পঞ্চগড়-১ /ছেলেকে জেতাতে মাঠে পিতা

বাংলারজমিন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

ছেলেকে দিয়ে হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে মাঠে নেমেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তিনি পঞ্চগড় ১ আসনের তিনটি উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে গণসংযোগ, পথসভা ও জনসভা করছেন। তার ছেলে ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির গত বুধবার বিকাল থেকে আলাদাভাবে প্রচারাভিযান শুরু করেছেন। নওশাদ জমির এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচন করার জন্য জমির উদ্দিন সরকার তাকে সহযোগিতা করাসহ বিএনপির পক্ষে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। বর্তমানে এ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধানের সঙ্গে নবম সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জমির উদ্দিন সরকার বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। নওশাদ জমির এবার জয়লাভ করলে তার প্রতিশোধও নেয়া হবে। ওদিকে, দীর্ঘদিনের গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব ভুলে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পৌরসভার মেয়র ও জনপ্রিয় বিএনপি নেতা তৌহিদুল ইসলাম ও জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল খালেক নওশাদের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং নিরসনে মূল ভূমিকা পালন করেন জমির উদ্দিন সরকার।
সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করার জন্য ব্যারিস্টার নওশাদ জমির মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, প্রার্থীরা নিজ নিজ কর্ম কৌশল নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়লেও এ আসনে জোটগত জটিলতার মুখে পড়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান। মজাহারুলের আগে থেকেই মাঠ সাজানো রয়েছে। এখন সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাজে লাগানোর পাশাপাশি অন্যান্য কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। তবে অতি আত্মবিশ্বাসী ও অমূল্যায়ন করার জন্য জনপ্রিয় অনেকে তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকার জন্য মাঠে নামার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেন। কয়েকজন তার পক্ষে কাজ করলেও কাজে গতি ও স্বতঃস্ফূর্ততা নেই। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আবু সালেক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তিনি গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সালেকের অভিযোগ মতে, বর্তমান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধানসহ অন্য নেতাকর্মীরা তার পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ না করার পাশাপাশি অসহযোগিতা ও গোপন বিরোধিতার কারণে তিনি নাজমুল হক প্রধানের কাছে হেরে যান। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তিনি এবার নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩ জন। গত নির্বাচনে সালেক ভোট পেয়েছিলেন ৩৭ হাজার ৯০৮। এ ছাড়া, বিএনপি জোটের শরিক দল জাগপার প্রয়াত সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ছেলে প্রকৌশলী আল রাশেদ প্রধান এ আসনে এবার জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে তিনি জাগপার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। জোটের মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ রাশেদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তিনি জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। করছেন গণসংযোগ ও পথসভা। এখানে জাগপার বেশ কয়েক হাজার রিজার্ভ ভোট রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর