× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা-১৪ / সরব আওয়ামী লীগ, আতঙ্কে বিএনপি

এক্সক্লুসিভ

পিয়াস সরকার
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

নির্বাচনী প্রচারণায় মুখর ঢাকার ১৪ নম্বর আসন। তবে এই প্রচারণায় এগিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসলামুল হক। বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ আবু বক্কর সিদ্দিক সাজু মাঠে থাকলেও পাশে পাচ্ছেন না নেতাকর্মীদের। মামলা-হামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে দূর-দূরান্তে কাটছে তাদের সময়। দলীয় প্রার্থী সাজুকে সমর্থন দিতে এলেও রাতেই ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

বিএনপি-আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও এ আসনে আরো ৫ জন লড়বেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। অন্যরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবু ইউসুফ হাতপাখা প্রতীক ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান। তার প্রতীক লাঙ্গল। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. আনোয়ার হোসেন।
তার প্রতীক টেলিভিশন। গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. জাকির হোসেন ও কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির রিয়াজ উদ্দিন।

সরজমিন এই আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি রাস্তায়, সঙ্গে অলিতে গলিতে লাগানো হয়েছে আসলামুল হকের পোস্টার। আবার সড়কের ডিভাইডারেও বড় করে লাগানো হয়েছে ব্যানার। কয়েকটি পোস্টার লক্ষ্য করা যায় হাতপাখার পক্ষেও। তবে চোখে পড়েনি কোনো ধানের শীষের পোস্টার। গতকাল নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। সারাদিনে দৃষ্টিগোচর বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট বেশকিছু মিছিল। আবার সড়কের মোড়ে মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী প্রচার ক্যাম্প।

শাহ আলীর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আসলাম। আর ঘরোয়া পরিবেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন বিএনপি প্রার্থী সাজু। তিনি বলেন- মামলা, হামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে সরব হতে পারছি না। মিরপুরবাসী আমার বাবা এসএ খালেককে ভালোবাসেন। তারা ৫ বার আমার বাবাকে নির্বাচিত করেছেন। তারা আমাদের সুখে দুঃখে পাশে পান। আশা করি ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন। তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচনে জয় পেলে বাসযোগ্য, সন্ত্রাসমুক্ত মিরপুর গঠনে কাজ করবো।

এই আসনে অধিকাংশ বাসিন্দাই ভিন্ন এলাকার ভোটার। তাই ভোটার খুুঁজে পাওয়াটাই দায়। দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। ভোটাররা দাবার কোর্টে সঠিক চাল দিতে নিচ্ছেন প্রস্তুতি। এই আসনের নতুন ভোটার ডিকেন্স মাহমুদ। ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তিনি। শাহআলী কলেজ এলাকায় তাদের বাস। তিনি বলেন, আমার পরিবারের সবাই একটি বড় দলের সমর্থক। তারা সেই প্রতীকেই ভোট দেবেন। তবে আমি ভোট কাকে দেবো সেই সিদ্ধান্ত নেবো শেষ সময়ে। প্রার্থী বুঝেই ভোট দেবো। তার বন্ধু ফয়সাল মাহমুদ। একই এলাকায় ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছেন। ফয়সালও নতুন ভোটার, পড়েন ঢাকা কলেজে। ফয়সাল বলেন, আমাদের এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে- এটা ঠিক। কিন্তু উন্নয়নের তো শেষ নেই। তাই আমার ভোটটা আমি যোগ্য ও তরুণ কাউকে দেবো। উন্নয়নের পাশাপাশি যেন তরুণদের ভাবনা বোঝেন। মিরপুর ১, আনসার ক্যাম্প এলাকা। এরশাদুল ইসলাম দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। একসময় চায়ের দোকান আজ ভাতের হোটেলে পরিণত হয়েছে। তিনি দীর্ঘ দিন এই এলাকায় বাস করছেন। জানেন এলাকার সুবিধা-অসুবিধা। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংসদ সদস্যের সময়ের তুলনা করেন। শেষে বলেন, আবারো চাই আসলাম ভাই ফের জয়লাভ করুক। সে এলাকার উন্নয়ন করেছে, আমি তাকেই ভোট দেবো। ধানের শীষের প্রার্থী খালেকের পক্ষে বলেন, সেই দোকানে ভাত খেতে আসা রফিক হোসেন। বলেন, রাস্তায় ধুলার জন্য হাঁটা যায় না, আবার ফুটপাথও দখল। আমরা দৃশ্যমান উন্নয়ন চাই। যেখানে সেখানে কল-কারখানা। বিশেষ করে গার্মেন্টগুলো বাসিন্দাদের অনেক অসুবিধার কারণ। রাস্তাঘাট দেখলে মনে হয় কোনো গ্রামের রাস্তায় চলছি। আর আসনের বাইরে যদি বলি, দেশের কয়েকটি ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য ছিল না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর