নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন মিয়াকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। লোকজনের জমি দখল, হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়, যুবতী নারীদের ধর্ষণের হুমকি, মাদক ব্যবসায় প্রশ্রয় দেয়াসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ ছিল স্থানীয়রা। গত মাসের ৭ তারিখে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সুমন রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করে বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া নিহত সুমনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ২২টি মামলা রয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা মুড়াপাড়া ইউনিয়নের নগর এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার এসআই মঞ্জুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুড়াপাড়া ইউনিয়নের নগর, ব্রাহ্মণগাঁও ও মঙ্গলখালী এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে লাঠিসোটা ও দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় সুমন। বারো বছর পূর্বে একই স্থানে একই কায়দায় তার পিতা তারা মিয়াকেও হত্যা করে এলাকাবাসী।
সুমনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মা নারগিস বেগম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ত্রাসী সুমন চলতি বছরের ৭ই নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান ভূইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুড়াপাড়া বাজার এলাকায় গুলি চালায়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও সুমনের গ্রুপের সদস্য ও তার চাচাতো ভাই ফালানসহ দু’জনকে লোকজন আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তাকে ছাড়িয়ে আনতে ওই এলাকার লোকজনের কাছে সুমন চাঁদা দাবি করে হুমকি দিয়ে আসছিল। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে দেয়ার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে গেলে সে অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে লোকজনকে ধাওয়া করে। এতে লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।