ব্যাংকিং খাত থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাট তথ্য অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরিচালকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। গতকাল বিএবি’র ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা বলা হয়। এর আগে ৮ই ডিসেম্বর ঢাকায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এক সেমিনারে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গেল প্রায় এক দশকে ব্যাংক থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে জানায়। এ তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করায় বিএবি উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের জন্য তীব্র নিন্দা জানায়। সভায় বিএবি’র সদস্যরা বলেন, ব্যাংকিংখাতে উল্লেখিত সময়ে ৮ লাখ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। গত ১০ বছরে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও ব্যাপক শিল্পায়ন দেশের প্রবৃদ্ধির হারকে উচ্চমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। দেশের আর্থিকখাত যখন ধারাবাহিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সে সময়ে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য পরিবেশন আর্থিক খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তারা। আর্থিকখাত বিশেষত ব্যাংকিং খাতের মতো স্পর্শকাতর খাতকে কোনো দল বা গোষ্ঠীর রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশের ব্যাংকিং খাতের এ অব্যাহত অগ্রগতি ধরে রাখতে বিএবি, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ ও দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিকট ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করে। বিএবি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএবি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক শহিদুল আহসান, পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এইচবিএম ইকবাল ও সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক আজিম উদ্দিন আহমেদ।