× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশের নির্বাচন /এক মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও অস্ট্রেলিয়ান সিনেটরের চাওয়া

শেষের পাতা

মিজানুর রহমান
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

বাংলাদেশে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন এক মার্কিন কংগ্রেসম্যান এবং এক অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর। নিজ নিজ সরকারের প্রতি লেখা চিঠিতে তারা আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র কাছে লেখা চিঠিতে কংগ্রেসম্যান জো উইলসন
বলেন, আমি আশা করছি বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে সেখানে এমন একটি অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। কিন্তু তারপরও আমি উদ্বিগ্ন প্রতিনিয়ত বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার, বিচারবহির্ভূত হয়রানি এবং সাংবাদিকদের আটকে রাখার ঘটনায়, যা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে! সাউথ ক্যারোলিনা এলাকা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান জো উইলসন ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতা হিসাবে ভূমিকা রাখছেন। জ্যেষ্ঠ ওই রাজনীতিক ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর পাঠানো চিঠিতে লিখেন- অভিন্ন মূল্যবোধের ওপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠিত।

দুই দেশেরই বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা এবং সততার সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনার আগ্রহ বা ইচ্ছা রয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ ওই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু করার নিশ্চয়তা পেতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে সেটাই আমি দেখতে, শুনতে চাই। মার্কিন ওই আইন প্রণেতা তার চিঠিতে সাম্প্রতিক সময়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের তৈরি করা সর্বজনীন মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন রিপোর্টে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে আগাম যেসব উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে তাও তুলে ধরেন।
লিখেন- রিপোর্ট বলছে, বিএনপি এবং বিরোধী অন্যরা আসন্ন নির্বাচনের প্রচারণায় সক্রিয় হতে চাইলে ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়বে। এত কিছুর পরও নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলের অংশ নেয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি লিখেন- ‘ডিয়ার সেক্রেটারি পম্পেও, আপনি জানেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেষ হবে।

এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করেছে। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনী কার্যক্রমে যতটা সম্ভব স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুতা নিশ্চিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কোন পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে কী না সেটি জানতে আমি আপনাকে লিখছি। আমি মনে করি দরিদ্রতা দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা কমানোর জন্য সরকারের প্রভাব মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকার চেয়ে কোনে ভালো ব্যবস্থা হতে পারে না। গণতন্ত্রে বিরোধী দলকে অন্যতম স্তম্ভ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

ভোট দান নিশ্চিতে অস্ট্রেলিয়া সরকারের ভূমিকা চান সিনেটর: অস্ট্রেলিয়ার ৮ রাজ্য ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বিত মোর্চা ‘দ্য গ্রিনস’-এর শীর্ষ নেতা সিনেটর রিচার্ড ডি নাটাল তার সরকারের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পরিপূর্ণভাবে প্রয়োগ (ভোট প্রদান) করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে। আর এটি করতে দ্য গ্রিনস এবং স্থানীয় কমিউনিটির (বাংলাদেশি) সদস্যদের সঙ্গে মিলে অস্ট্রেলিয়া সরকারকে প্রকাশ্যে আহ্বান জানাতে হবে বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোটের জন্য। এটাই আমার অনুরোধ। ৮০০ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানের পিটিশন বা আরজি পাওয়ার কথা জানিয়ে নাটাল বলেন, তারা আমাকে বলেছে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে তাদের এমন বিশ্বাস খুবই কম।

তারা তাদের মাতৃভূমির এমন পরিস্থিতিতে খুবই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের জুলুম নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশটিতে বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেপ্তারের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এতেও আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ওই সমস্যা তথা পরিস্থিতি ততই অবনতি ঘটছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। সামজিক ন্যায়বিচার, তৃণমূলে গণতন্ত্র এবং শান্তি ও অহিংসাসহ চারটি মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জানিয়ে নাটাল বলেন, বিশেষ করে দেশটিতে মিডিয়া, শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন পীড়ন চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর