একাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে আগামী ২৪শে ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী। এবার সেনাবাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় মাঠে থাকবে। ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে তারা। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সচিব জানান, আগামীকাল শনিবার থেকে সেনাবাহিনীর ছোট ছোট টিম রেকি করতে পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় বের হবে। ওই রেকিতে থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক বিষয় তদারকির জন্য আগেই মাঠে যাবেন সেনাবাহিনীর ছোট ছোট টিম। ইসি সূত্রে জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯ থেকে ১৩০ ধারায়। আর এবারে মোতায়েন হচ্ছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭, ১২৮, ১২৯, ১৩০, ১৩১ ও ১৩২ ধারায়।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯ থেকে ১৩২ ধারার মধ্যে ১৩১ ধরায় সেনাবাহিনীর কোনো কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতেও জননিরাপত্তা বিপদগ্রস্ত হচ্ছে এমন সমাবেশ ভঙ্গের জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেপ্তারের করতে পারবেন।
ইসি সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৪শে অক্টোবর সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। ওই সংলাপে অংশ নিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের একজন নির্বাচনে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩১ ধরায় সেনা নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সংলাপে সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের কয়েকজন বলেছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯ থেকে ১৩০ ধারায় এবং সেনা বিধিমালা ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটের আওতায় সেনাবাহিনী মোতায়নে কোনো কাজ হবে না। ওই সংলাপ নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘নির্বাচনী সংলাপ-২০১৭’ নামে গ্রন্থ প্রকাশ করে এবং তাতে সাবেক কশিনারদের এই মত স্থান পায়।
গতকাল নির্বাচন কমিশনের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভার কার্যপত্রে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভোটগ্রহণের আগে, ভোট গ্রহণের দিন ও পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য ২৪শে ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ১লা জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত (যাতায়াত সময় ব্যতীত) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে ইতিমধ্যে অনুরোধ করা হয়েছে। এলক্ষ্যে ১৫ই ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ হতে নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।