× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এক মঞ্চে সরাইল বিএনপি

বাংলারজমিন

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

পদ,পদবি, আধিপত্য ও গ্রুপিং-লবিংয়ে অশান্ত ছিল সরাইল বিএনপি। এ ছাড়া হামলা মামলায় কোণঠাসা বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে ছিল দূরত্ব। কেন্দ্র ঘোষিত দলীয় কর্মসূচিতে মূল দলের ২/১ জন ও যুবদল ছাত্রদল ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি মাঠে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতেও দেখা গেছে দ্বিধাবিভক্তি। সবার মধ্যেই ছিল ক্ষোভ ও ঘা-ছাড়া ভাব। মনোনয়ন চেয়েছিলেন ৭-৮ জন। পেয়েছেন ৪ বারের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। সব ভুলে দীর্ঘ ৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার জেলার নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মনোনয়ন বঞ্চিতরা সহ উপজেলা বিএনপির সকল নেতা বসেছিলেন এক মঞ্চে।  বিগত দিনের রাগ দুঃখ ও হতাশা ভুলে সকলেই এখন ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ।
দলীয় সূত্র জানায়, গ্রুপিং দ্বন্দ্ব, মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সরাইল বিএনপি যেন ফিরে পেয়েছে হারানো যৌবন। নানা কারণে বর্ষীয়ান নেতা আবদুস সাত্তারের উপর ক্ষুব্ধ ছিল সরাইল বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুস সাত্তার। ঘোষণার পর অনেকের মন খারাপ হলেও দলের স্বার্থে এখন তারা ঐক্যবদ্ধ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরাইল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল মাঠে দলটির সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আবদুস সাত্তার। বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম খোকন, ব্যবসায়ী মো. কবির ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, সাবেক ছাত্রদল নেতা আহসান উদ্দিন খান শিপন ও এসএন তরুণ দে। মনোনয়ন বঞ্চিত দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সভায় না এলেও তার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন-“ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বৃহত্তর স্বার্থে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আর প্রধান অতিথি আবদুস সাত্তার বলেন, দেশে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। অনৈক্য দূরত্ব রাগ ক্ষোভ ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষা, দেশনেত্রীর মুক্তি ও তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ধানের শীষের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। সকলে মিলে ভোটের মাঠে কাজ করে ঐক্যফ্রন্টকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। পরে সাত্তার, জেলা ও উপজেলার সকল নেতা এক কাতারে দাঁড়িয়ে একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর