× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেট-৪ আসন / ইমরান ও দিলদারের হাইভোল্টেজ লড়াই

বাংলারজমিন

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

সীমান্তবর্তী সিলেট-৪ আসনে ইমরান আহমদ ও দিলদার হোসেন সেলিমের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের অপেক্ষা। দু’জনেই সমান সমান। এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরেফিরে শাসন করছেন তারা দু’জনই। ফলে তাদের ঘিরেই দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ভোটাররা। তবে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ রহমান মহাজোট প্রার্থী ইমরান আহমদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির বিশাল ভোটব্যাংক রয়েছে। তাজ রহমান তার নিজ দলের ভোট টানলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন ইমরান আহমদ। সেক্ষেত্রে অনেক বেশি সুসংহত অবস্থানে আছে দিলদার হোসেন সেলিম।


সিলেট-৪ আসনটির তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এগুলো হচ্ছে- জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ। খনিজ সম্পদে ভরপুর এই তিন উপজেলা পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণও। এখানে আছে জাফলং, বিছনাকান্দি ও ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি। পাশপাশি আমদানি-রপ্তানির অন্যতম রুট হচ্ছে এ আসন। ভৌগলিক অবস্থানে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা হিসাব নিকাশ। বিগত কয়েক বছর ধরে পাথর কোয়ারি বন্ধ, শ্রমিক বেকার, লোকালয়ে নির্বিচারে পাথর উত্তোলন, শ্রমিক মৃত্যুর মিছিল, আদিবাসীদের ওপর খবরদারি এসব নানা ইস্যু এবারের ভোটে এ আসনে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে।

২০০৮ সাল থেকে টানা ১০ বছর ধরে এ আসনে এমপি রয়েছে ইমরান আহমদ। এর আগে ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি এ আসনে এমপি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এমপি থাকলেও এবারই ইমরান আহমদ কয়েকটি উন্নয়ন করতে পেরেছেন। এসব উন্নয়নের মধ্য রয়েছে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন, জাফলং সেতু, কোম্পানীগঞ্জে আইসিটি পার্ক নির্মাণ, তামাবিল স্থলবন্দর নির্মাণ। কিন্তু পাথর লুটপাট, নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের সময় অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু এবার তাকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুরের আওয়ামী লীগ নেতাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড তাকে নতুন করে ভোটের মাঠে আলোচিত করে তুলেছে। এ আসনে এবার একক ছাড় পাননি ইমরান আহমদ। তার আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান। তিনি মহাজোট থেকে এ আসনের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মহাজোটের সিদ্ধান্ত ইমরানের পক্ষে যাওয়ায় তাজ রহমান মাঠ ছাড়েন নি। জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটে জাতীয় পার্টির ভোটব্যাংক রয়েছে। এই ভোটব্যাংক ২০০৮ সালে ইমরান আহমদের পক্ষে গিয়েছিল। কিন্তু এবার তাজ রহমান প্রার্থী হওয়ায় এই ভোটগুলো তার পক্ষেই থাকবে।

এতে করে ভোটের মাঠে তাজ রহমান বর্তমান এমপি ইমরান আহমদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে, ইমরান আহমদের মতো দীর্ঘদিনের এমপি বিএনপির প্রার্থী দিলদার হোসেন সেলিমও। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। দলীয় মনোনয়ন লড়াইয়ে তার শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান। শেষ পর্যন্ত সেলিমই পান চূড়ান্ত মনোনয়ন। আর এই মনোনয়ন পাওয়ায় একক প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে সুসংহত অবস্থানে রয়েছেন দিলদার হোসেন সেলিম। গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল হেকিম চৌধুরী এবার নিজে প্রার্থী চেয়ে ভোটের মাঠে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত হেকিমও পিছু হটেন। এ নিয়ে দিলদার সেলিমের সঙ্গে কিছুটা টানাপড়েন ছিল হেকিমের। সম্প্রতি দিলদার সেলিম গোয়াইনঘাটে হেকিমের বাসায় চলে গেলে এই টানাপড়েন কমেছে। আব্দুল হেকিম চৌধুরীও ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নেমেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর