× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বুড়ি তিস্তা থেকে বালু উত্তোলন হুমকির মুখে সেতু ও সড়ক

বাংলারজমিন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

অবাধেই চলছে বুড়ি তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। হুমকির মুখে সেতু ও সড়ক। নেই কারো নজর। অজ্ঞাত কারণে চুপচাপ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন। অসহায় মানুষ প্রভাবশালীদের ভয়ে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীর রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বকুল তলা এলাকায় প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে বুড়ি তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ওই এলাকার সেতু, সড়কসহ আবাদি জমি। এলাকার বকুল তলা নবনির্মিত সেতু ও পাকা রাস্তা সংলগ্ন তিস্তা নদীর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করে আসছেন এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র। ফলে বর্ষা মৌসুমে ব্রিজ ও পাকা সড়ক ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা মৌখিকভাবে বাধা দিলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়াও হচ্ছে বলে তারা জানান। সরেজমিন শনিবার ওই এলাকায় গেলে এলাকাবাসী হারুন, হাবিব, জামালসহ অনেকে জানান, অবৈধভাবে বুড়ি তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীর উপর নবনির্মিত সেতু ও সংলগ্ন পাকা সড়কসহ এলাকার আবাদি জমি রয়েছে হুমকির মুখে। তারা আরো জানান নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি এই এলাকার যাতায়াতের একটি মাত্র গুরুত্বপূর্ণ সেতু কিন্তু একটি মহল নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য দিনের পর দিন সেতুর পাশ থেকেই তিস্তা থেকে অবৈধভাবেই উত্তোলন করে যাচ্ছে বালু ফলে সেতুটি যেমন ভাবে পড়েছে হুমকির মুখে তেমনি ভাবে হতাশায় পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তারা আরো জানান, আমরা নিষেধ করতে গেলে বালু উত্তোলনকারীরা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় কারণ তাদের পিছনে প্রভাবশালী ও প্রশাসনের হাত রয়েছে তারাও কথায় কথায় তা বলে। ড্রেজার চালক বলেন আমরা কন্টাকে কাজ করছি আপনারা মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। বালু উত্তোলনকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী জানান আপনারা এসেছেন দেখেই জড়িতরা গা-ঢাকা দিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শাসছুজ্জোহার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান বিষয়টি শুনেছি সরেজমিন ঘুরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিলমারীর দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখবো। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে বুড়ি তিস্তা খননের জন্য সরকারি ভাবে বাজের আশার কথা যারা ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরতরা কৌশল অবলম্ব করেন এবং তিস্তা থেকে বালু উত্তোলনকারীদের নিষেধ করছেন না। ফলে দিনের পর দিন বালু উত্তোলনকারীরা বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর