× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রাক্তন স্বামীর প্রতারণার শিকার ফাতেমা

বাংলারজমিন

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

 দুই সন্তানের জননী ফাতেমা। স্বামী অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে তাকে তালাক দিয়েছেন। অন্যায়ভাবে দেয়া স্বামীর তালাক মেনে নিলেও দুঃখ পিছু ছাড়েনি ফাতেমার। দুঃখ তার জীবন সঙ্গী হয়ে আছে। দুঃখের জীবনে তালাক দেয়া স্বামীর ছলনা ফাতেমাকে করেছে নিরুপায়। প্রাক্তন স্বামীর প্রেমের অভিনয়ে সে এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কে নেবে ফাতেমার এই দুঃখের জীবনের দায়ভার?

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামের ফাতেমা বেগম (২৭)। দরিদ্র বাবা-মা’র চার মেয়ের তৃতীয় ফাতেমা।
দশ বছর আগে একই গ্রামের বাদশা মিজির ছেলে মামুনের সঙ্গে ২০০৯ সালের ৮ই আগস্ট দশ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয় ফাতেমার।

২০১৬ সালে মামুন আরেকটি বিয়ে করে। পরে সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্তে আড়াই লাখ টাকায় ফাতেমার সংসার বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু যোগাযোগ থাকে তাদের। সন্তানদের দেখাশোনার বাহানায় ধীরে ধীরে ফাতেমার কাছাকাছি আসতে থাকে মামুন। এভাবে মামুনের চতুরতার ফাঁদে পড়ে ফাতেমা। সবকিছু খুইয়ে বিচারের জন্য এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ফাতেমা ও তার পরিবার।

কথা হয় ফাতেমা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, মামুন ও তার তিন সহপাঠী মিলে বিয়ের সাত-আট দিন আগে গভীর রাতে আমাদের ঘরে হানা দেয়। মুখে কাপড় বেঁধে তুলে নিয়ে সর্বনাশ করে। পরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসা করাতে হয়। ঘটনার পর বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাদি মামুনের সঙ্গে আমার বিয়ের সিদ্ধান্ত দেয়। আমাদের দম্পত্য জীবনে ৫ বছরের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে।

হঠাৎ করে দুই বছর আগে মামুন অন্য মেয়ের প্রেমে পড়ে। ওই মেয়ের গর্ভে বিয়ের আগে একটি ছেলে সন্তান হয়। আবারও মাতব্বররা মামুনকে নিয়ে বৈঠকে বসে। মামুন আমাকে রাখবে না বলে জানালে ইউপি চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তে আড়াই লাখ টাকায় আমাদের বিচ্ছেদ হয়।

কিন্তু তালাকের তিন মাস যেতে না যেতেই মামুন আমাকে নিয়ে আবার সংসার করার আগ্রহ দেখায়। আমাকে সন্তানসহ শহরে ভাড়া বাসায় রাখার কথা বলে। দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে আমিও মামুনের প্রতি দুর্বল হয়ে যাই। মামুন আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করে। এমতাবস্থায় আমার গর্ভে পুনরায় তার সন্তান আসে। মামুনকে বিষয়টি জানানোর পর সে চিকিৎসকের কাছে যেতে ৫শ’ টাকা দেয় এবং তারপর থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এখন তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ। সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযুক্ত মামুন মুঠোফোনে বলেন, ‘ফাতেমা প্রথমেও আমার সঙ্গে ভেজাল করে বিয়ে বসে। এখন আবার আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই অপবাদ দিচ্ছে। ফাতেমার অভিযোগ মিথ্যা। তালাকের পর আমি তার সঙ্গে মোবাইলেও কথা বলিনি।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর