× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জ-৪ /সক্রিয় আওয়ামী লীগ, নীরব প্রচারণায় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী

ইলেকশন কর্নার

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরগরম নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা)। কিন্তু নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও অস্বস্তিতে রয়েছে এখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা। শামীম ওসমানের পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাশেমীর পক্ষে মাঠে নামছে না বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাছাড়া ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মনির হোসাইন তার নির্বাচনী পোস্টারে নিজের ছবি ছাড়া আর কারো ছবি ব্যবহার করেননি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিএনপির শিবিরে। ফলে অনেকটা নীরব প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী।

সূত্রমতে, চূড়ান্ত মনোনয়নের শেষ সময়ে বিএনপি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে ছেড়ে দেয়। এখানে প্রার্থী করা ঐক্যফ্রন্ট থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাশেমীকে।
যিনি বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও এলাকায় একেবারে অপরিচিত। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করতেই তার সময় চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে এখানে আওয়ামী লীগের দুইবারের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এক টেবিলে উপস্থিত করে নাটকীয়ভাবে চমক সৃষ্টি করেছেন। এসব নেতার সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে তিনি নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন।

ফলে তার প্রচারণায় সকল ভেদাভেদ ভুলে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়া শীর্ষ নেতাদের শামীম ওসমানের পাশে দেখে মাঠ পর্যায়ের সাধারণ নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত। প্রায় প্রতিদিনই শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। নৌকার স্লোগানে মুখরিত তার নির্বাচনী এলাকা। শামীম ওসমান ছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরের নানা উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী ক্যাম্প বানিয়ে নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে না নামায় ধানের শীষের জরালো কোনো প্রচারণা নেই বললেই চলে। মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী তার নিজ দলের কিছু কর্মীকে নিয়ে নীরবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার উপর তিনি তার নির্বাচনী পোস্টারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারো ছবিই ব্যবহার করেননি। পোস্টারে তার এবং ধানের শীষের ছবি ছাড়া আর কারো ছবি নেই।

এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দেয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে কাশেমীর ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, নতুন করে পোস্টার ছাপাতে দেয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার জুমার পর গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী বলেন, নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও জোটের অন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার কাজের রোডম্যাপ করা হচ্ছে। সবাই যখন নামতে বলবেন তখনই নামবো।

ওদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ যেখানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ও হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমান। সেখানে তার বিপরীতে ঐক্যফ্রন্ট থেকে এমন একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে যা ভোটের মাঠে একেবারে দুর্বল প্রার্থী। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শাহ আলম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।

কিন্তু ২৭শে নভেম্বর আকস্মিকভাবে বিএনপির প্রার্থীদের বাদ দিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাশেমীকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। যাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা কখনো দেখেনি, চিনেও না। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বিএনপির ওই দুই প্রার্থীর সমর্থক ও বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। যার কারণে নির্বাচনী মাঠে কেউ নামছেন না। তবে শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পক্ষে জোটের নেতাকর্মীরা নামলে জমে উঠবে নৌকা-ধানের শীষের মাঠ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী কমান্ডার সিরাজুল ইসলামকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন শামীন ওসমান, এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর