মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচ হারের পরই আর্সেনালের অপরাজিত থাকার দৌড় শুরু। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সেটি ঠেকলো টানা ২২ ম্যাচে (১৭ জয়, ৫ ড্র)। সবশেষ ইউয়েফা ইউরোপা লীগের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজারবাইজানের দল কারাবাগকে ১-০ গোলে হারায় গানাররা। আর্সেনালের অপরাজিত থাকার ক্লাব রেকর্ড টানা ২৮ ম্যাচের। সবশেষ হারের স্মৃতি গত আগস্টে চেলসির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচে। ইউরোপা লীগে আগেই ‘ই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে আর্সেনাল। বৃহস্পতিবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে কারাবাগের বিপক্ষে প্রথমার্ধে জয়সূচক গোলটি করেন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড আলেক্সান্ডার লাকাজে। আর্সেনালের সঙ্গী হয়ে শেষ ৩২ রাউন্ডে পা রাখে স্পোর্টিং লিসবন।
৬ ম্যাচে দুইদলের পয়েন্ট ১৬, ১৩। নিজেদের শেষ ম্যাচে ইউক্রেনের ভরসকা পোলতাভাকে ৩-০ গোলে হারায় লিসবন।
আর্সেনাল জয় দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করলেও হোঁচট খায় আরেক ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর হাঙ্গেরিয়ান ক্লাব এমওএল ভিদির মাঠে এগিয়ে থেকেও ২-২ গোলে ড্র করে ব্লুরা। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার উইলিয়ানের গোলে ৩০ মিনিটে লিড নেয় চেলসি। দুই মিনিট বাদেই চেলসির তরুণ সেন্টারব্যাক ইথান আমপাদুর আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ৫৬ মিনিটে ভিদিকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার লুইক নেগো। ৭৫ মিনিটে চেলসিকে সমতায় ফেরান ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার অলিভার জিরু। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হাঁটুর ইনজুরিতে স্প্যানিয়ার্ড স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতোর বদলি হিসেবে নেমেছিলেন জিরু। ‘এল’ গ্রুপে ৬ ম্যাচে চেলসির পয়েন্ট ১৬। ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেন বেলারুশ। অ্যাওয়ে ম্যাচে গ্রিসের পিএওকে ক্লাবকে ৩-১ গোলে হারায় তারা। তৃতীয় স্থানে এমওএল ভিদি (৭) তলানিতে পিএওকে (৩)। এদিকে, নিজ মাঠে ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নির্ধারণী ম্যাচে ক্রাসনোদারের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় কুড়ায় সেভিয়া। ৬ ম্যাচে সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে হেড-টু-হেড গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকে স্প্যানিশ ক্লাবটি।