× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১০ গোলে জিতেও আক্ষেপ কিশোরদের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

গত অক্টোবরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ৯-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দল। ম্যাচটি হয়েছিল নেপালে। দুই মাস পর থাইল্যান্ডে ফিরল সেই স্মৃতি। এবারও লাল-সবুজ কিশোরদের কাছে পাত্তাই পেলো না মালদ্বীপের কিশোররা। ইউয়েফার অর্থায়নে চার জাতি অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল টুর্নামেন্টে দু’দলে ব্যবধানটা বাড়িয়েছে কিশোররা। নিজেদের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপকে ১০-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন অধিনায়ক হেলাল আহমেদ। দু’টি করে গোল আছে নিহাত জামান উচ্ছ্বাস, রাসেল আহমেদ ও আশিকুর রহমানের।
আসরে প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী সাইপ্রাসের কাছে ৪-০ গোলে হারে বাংলাদেশ কিশোর ফুটবল দল। দ্বিতীয় ম্যাচে আগে গোল আদায় করেও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয় বঞ্চিত হয় মোস্তফা আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা। এই জয়ে তিন ম্যাচে সমান একটি করে জয়, ড্র ও হারে বাংলাদেশের পয়েন্ট চার। তিন ম্যাচ শেষে পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ। সেখানে থাইল্যান্ডের সমান পয়েন্ট হওয়ার পরও গোল গড়ে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ।
গতকাল থাইল্যান্ডের বুরিরামে আগের দুই ম্যাচে ২৮ গোল হজম করা মালদ্বীপ কিশোরদের জালে প্রথমার্ধেই পাঁচবার বল জড়ায় বাংলাদেশ। এই ৪৫ মিনিটের মধ্যেই নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন লাল-সবুজ অধিনায়ক হেলাল আহমেদ। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ফ্রি-কিক শটে নিজের সঙ্গে দলের গোলের খাতা খোলেন হেলাল। তিন মিনিট পরই ডি-বক্সের ভেতর জোরাল এক শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। হেলালের আরেকটি জোরাল শটেই ৩৩ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ হয় বাংলাদেশের। সঙ্গে পূর্ণ হয় অধিনায়কের হ্যাটট্রিকও। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি শটে আশিকুর রহমানের গোলের দুই মিনিট পর নিহাত জামান উচ্ছ্বাস জাল খুঁজে পেলে ৫ গোলের ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় লাল-সবুজরা। বিরতির পরও থামেনি বাংলাদেশের গোলবন্যা। ৪৮ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বলে মাথা ছুঁয়ে দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন ফরোয়ার্ড রাসেল আহমেদ। ৫৯ মিনিটে সপ্তম গোলটি আসে নিহাত জামান উচ্ছ্বাসের পা থেকে। অষ্টম গোলটি এসেছে ৬৫ মিনিটে, রাসেল আহমেদের পা ছুঁয়ে। ৭৫ মিনিটে নবম গোলটি করেন আশিকুর রহমান। আর অতিরিক্ত সময়ে দলের ১০ নম্বর গোলটি মঈনুল ইসলাম মঈনের। দশ গোলে জয়ের পরও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের হেড কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ। ম্যাচ শেষে এই কোচ বলেন, আমাদের টার্গেট ছিল বড় ব্যবধানে জয়ের। প্রথমার্ধে টার্গেটমতোই পাঁচ গোল করেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আরো বেশি গোল পাওয়া উচিত ছিল আমাদের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর