× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ময়মনসিংহে ৩টি আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে নৌকার সমর্থনে রওশন এরশাদ সরে দাঁড়ালেও ময়মনসিংহ-৫, ৬ ও ৯ আসনে মহাজোটের ২ জন করে প্রার্থী রয়েছে। ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম খালিদ বাবু (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি (লাঙ্গল) ও ময়মনসিংহ-৬ ফুলবাড়ীয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি এড মোসলেম উদ্দিন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. কেআর ইসলাম (লাঙ্গল) ও ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি আনোয়রুল আবেদীন খান তুহীন  (নৌকা),  জাতীয় পার্টির মো. হাসনাত মাহমুদ (লাঙ্গল), প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। গত বুধবার বিকালে রওশন এরশাদ ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ত্রিশাল আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীকে সমর্থন দিয়ে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। সরে দাঁড়ানোর আগে ত্রিশাল আসনে মনোনয়নপত্র জমা ও প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ (সদর) ও ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। ময়মনসিংহ সদরে মহাজোটের একক প্রার্থী হওয়ায় সেখানে আওয়ামী লীগের ভোট ও কর্মীদের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু ত্রিশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকায় এই সুবিধা নেই।
এককভাবে জাপার কর্মী নিয়ে নির্বাচন করা কঠিন হবে এমন আশঙ্কা থেকেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র রওশন এরশাদের চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, যেহেতু উনার প্রতীক বরাদ্দ হয়ে গেছে কাজেই ব্যালেট পেপারে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক থাকবে। এখন আর আমাদের কিছু করণীয় নেই। রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর থেকে ত্রিশাল আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ ও দুই দলের নেতা-কর্মীরা। ত্রিশাল আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মাদানীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ায় এখানে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহের সৃষ্টি হয়। তবে শেষ মুহূর্তে রওশন এরশাদ এই আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বুধবার রওশন এরশাদ সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় আওয়ামী লীগের জয় অনেকটা নিশ্চিত মনে করেন রহুল আমিন মাদানী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে শেষ পর্যন্ত নাটকীয়তার মধ্যে গত দুইদিনে নেতা-কর্মীরা দলের মনোনীত প্রার্থী ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের পক্ষে প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ত্রিশাল আসনে প্রথমে বিএনপি’র মনোনয়ন পেয়েছিলেন ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন। শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পরিবর্তন করে মাহবুবুর রহমানকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর