নিরুত্তাপ মাঠে কৌশলী প্রার্থী। ভিন্নধাঁচে নির্বাচনী প্রচারণায় মেজর আখতার। কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া আসনে বরাবরই নির্বাচন পূর্ব এবং নির্বাচনোত্তর সহিংসতার নজির খুব কম। এবারও নির্বাচনী প্রচারণা পুরোদমে শুরু হলেও নির্বাচনী সহিংসতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ রকম পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই মেজর আখতার কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এ পর্যন্ত ধানের শীষের কোনো প্রকার মিছিল নেই, নেই কোনো পোস্টার, মাইকিং এমনকি নির্বাচনী অফিসও নেই। মিছিল, পোস্টার, মাইকিংয়ের মাধ্যমে জমজমাট প্রচারণা না থাকলেও মেজর আখতার ভিন্নধাঁচে চলিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। তার লক্ষ্য প্রতিটি ওয়ার্ডের সকল ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করা।
সেই লক্ষ্যেই একেক দিন একেক ইউনিয়নের স্ব স্ব ওয়ার্ডের নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কথা বলছেন, ভোট প্রার্থনা করছেন। তিনি স্ব স্ব ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের অন্য ওয়ার্ডে গণসংযোগ না করে নিজ ওয়ার্ডের ভোটারদের ধানের শীষে ভোট দিতে কাজ করার আহ্বান জানান। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে কটিয়াদী এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার ২টি পৌরসভা ১৮টি ইউনিয়নের ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪২০ জন ভোটার রয়েছেন। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ সময়ের মধ্যে মেজর আখতারের পক্ষে সমস্ত ভোটারের যোগাযোগ রক্ষা করা কঠিন কাজ। তাই তার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন তার সহধর্মিণী সালমা জামান। একদিকে ছুটছেন মেজর আখতার অন্যদিকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ছুটছেন সালমা জামান। শুক্রবার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্ধু শাহী মসিজদ সংলগ্ন মাঠে, বটতলী বাজারসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন মেজর আখতারুজ্জামান। অন্যদিকে সালমা জামান বৃহস্পতিবার রাতে গণসংযোগ করেন কটিয়াদী পৌর এলাকার কামারকোনা মহল্লায়। তিনি এলাকার নারী ভোটারদের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে বলেন, আপনাদের একটি ভোটেই খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।