× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ড. কামালের ওপর হামলার বিষয়ে অবহিত নয় কমিশন: সচিব

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের গাড়িতে হামলার বিষয়ে অবহিত নয় নির্বাচন কমিশন। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে গতকাল সাড়ে নয়টার দিকে ড. কামালের ওপর এ হামলা হয়। এ ঘটনার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর বিকাল সাড়ে চারটায় প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব জানান, বিষয়টি নিয়ে কেউ লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেনি। এর আগে কমিশনে যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলোর বিষয়ে কমিশন তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিষয় আদৌ সত্য নয়। গতকাল শুক্রবার নির্বাচন ভবনে ওই ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সারা দেশে এতবড় নির্বাচনী কর্মযজ্ঞের মধ্যে আনুপাতিক হারে চিন্তা করলে যেসব ঘটনা ঘটছে এগুলো এক শতাংশ বা দুই শতাংশ। আমরা এগুলো অস্বীকার করবো না। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কমিশন যথেষ্ট সজাগ আছে।
পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেয়া হচ্ছে। কোনো অভিযোগ পেলেই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেরকম নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় হামলা ও সহিংসতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইসি সচিব জানান, যেসব প্রার্থী কমিশনে অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকটি অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করছি আমলে নিচ্ছি। রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কাছে এসব অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে। বেশ কয়েকটি তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। আদো সত্য নয় এরকম কয়েকটি প্রতিবেদনও পাওয়া গেছে। কিছু কিছু জায়গায় প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছে কমিশন। সেরকম তদন্ত প্রতিবেতদন পাওয়া গেলে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। সচিব বলেন, বিনা অপরাধে কাউকে হয়রানি না করতে ও পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় কমিশন কড়া ভাষায় নির্দেশনাও দিয়েছে। পেন্ডিং ওয়ারেন্ট এবং আদালতের তাগিদ থাকলে স্বাভাবিকভাবে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে। অনেক দিন এলাকায় না থাকায় পুলিশ হয়তো তাদের খুঁজে পায়নি। নির্বাচন প্রচারণার সময়
প্রকাশ্যে আসায় গ্রেপ্তারের সুযোগ পাওয়ায় পুলিশ এসব জায়গায় আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে। হেলালুদ্দীন আহমদ আরো জানান, জাতীয় নির্বাচনের সাত দিন আগে সকল সংসদীয় আসনে ব্যালট পেপার পাঠাতে সক্ষম হবে নির্বাচন কমিশন। এখনো বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থিতা নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অপেক্ষমাণ থাকায় সেসব আসন বাদ দিয়ে বাকি আসনগুলোর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ চলছে। তবে, ৩০শে ডিসেম্বরের আগেই সব জেলার রিটার্নিং অফিসারদের কাছে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া হবে।  
নির্বাচনের আগে আটটি বিভাগে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন নির্বাচন কমিশনাররা। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা নিয়ে আগামী ১৮ই ডিসেম্বর রাঙামাটিতে একটি সমন্বয় সভা করবে কমিশন। ওইদিন বিকালে চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অন্য বিভাগগুলোতেও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করবেন  নির্বাচন কমিশনাররা।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে আগামী ২৪শে ডিসেম্বর থেকে ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাজার খানেকের মতো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের চার দিন দায়িত্ব পালন করবেন। এরা সকলেই মূলত বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। আলাদা কোনো বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান ইসি সচিব। সচিব জানান, আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা সাংবাদিকদের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নে তাগিদ দিয়েছেন। সাংবাদিকদের জন্য আলাদা একটি গাইডলাইন তৈরির চিন্তাভাবনা করছে কমিশন। কমিশনাররা বলেছেন, সাংবাদিকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, ছবি তুলতে পারবেন ও ভোটারদের প্রতিক্রিয়াও নিতে পারবেন। তবে কেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার না করার বিষয়ে কমিশনের পর্যবেক্ষণ আছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে নির্দেশনা দেয়া হবে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশ ইনচার্জের কাছে দুটি মোবাইল থাকবে। এ ছাড়া অন্যদের কাছে মোবাইল থাকলে ব্যবহারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সভায় কমিশন একটি বিধিনিষেধ দিয়েছে। সাংবাদিকরা মোবাইল নিয়ে যাবেন, তবে কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে ব্যবহার করলে অসুবিধা নেই। কেন্দ্রের ভেতরে বা বুথের ভেতরে মোবাইল ব্যবহার হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপব্যবহার করতে উৎসাহিত হতে পারে, এ ব্যাপারে বিধিনিষেধ থাকা দরকার বলে কমিশন মনে করে। একটা পরামর্শ এসেছে, এটা এখনো আমরা সেভাবে গ্রহণ করিনি। ভয়ের কোনো বিষয় নেই। নির্বাচন যাতে বানচাল না হয়। এবার একটি আলাদা প্রেক্ষাপটে নির্বাচন হচ্ছে, সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। এবং একটি রাজনৈতিক সরকার আছে। স্বাভাবিকভাবে সবকিছু বিবেচনায় রেখেই আমাদের এগুলো চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর