× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবো

এক্সক্লুসিভ

মরিয়ম চম্পা
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

আফরোজা আব্বাস। ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী। মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বামীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন। তার স্বামী মির্জা আব্বাস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।
১৯৮৩ সালে মির্জা আব্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় আফরোজার। সে সময়ের কথা মনে করে তিনি বলেন, তখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চলছিল। আমার বিয়ের মাত্র ৭ দিনের মাথায় মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তার হন। আমি ওকে কখনো পিছু টেনে ধরিনি। ওকে সবসময়ই বলেছি তুমি সামনে এগিয়ে যাও বাকিটা আমি দেখছি।
সংসার থেকে শুরু করে সব দিকই শক্ত হাতে সামলেছি। আব্বাসের প্রত্যেকটি পথচলায় ওর পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। ওকে সাহস দেয়া। অনুপ্রেরণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আব্বাসের জন্য যেমন করেছি একইভাবে দলের জন্যও সমান তালে কাজ করে গেছি।
তিনি বলেন, আমার রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। উনি আমাকে হাতে ধরে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন। বলেছেন, তুমি এই জায়গার যোগ্য। তুমি এখানে আসো। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে ডিগ্রি পাস করি। কিন্তু আমি কখনো ভাবিনি যে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবো। আফরোজা আব্বাসের গ্রামের বাড়ি পাবনা সদরে। বাবা মৃত আনোয়ারুল ইসলাম পাকিস্তান আমলে এয়ারফোর্সে চাকরি করতেন। করেছেন শিক্ষকতা। মা মৃত বেগম ফাতিহা আনোয়ার ছিলেন গৃহিণী।
বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আসন্ন নির্বাচনে জনগণের কাছে আমার প্রতিশ্রুতির মধ্যে এলাকার উন্নয়ন অবশ্যই প্রাধান্য পাবে। এলাকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনবো। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা, তরুণদের বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করার বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। বর্তমানে তরুণরা পড়ালেখা শেষ করে কোথাও চাকরি পায় না। আত্মহত্যা করে। এগুলো আমাকে ভীষণ পীড়া দেয়। তাই তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরিতে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিতে ছাত্র ছাত্রীদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা। মোটাদাগে এলাকার উন্নয়ন, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা তৈরি করতে চাই। আমি ছোট-বড় সবার কথা শুনতে পছন্দ করি। এবং সবার সঙ্গে মিশতে পছন্দ করি।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় নির্বাচনের আগে সবাই প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু পরবর্তীতে আর কোনো খোঁজখবর রাখে না। আগামী নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় যাই বা না যাই জনগণের পাশে সার্বক্ষণিকভাবে আছি এবং থাকবো। আমরা এলাকায় থাকি। এলাকার জনগণের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা সবসময় আছে। রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবগুলো অনুষ্ঠানে আমি বলেছি যে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নারীদের আনার জন্য। নির্বাহী কমিটিতে আরো বেশি নারী সদস্য নেয়ার জন্য। এবং সংসদীয় আসনে প্রার্থিতার জন্য নারী সদস্য বাড়াতে।
কেমন নির্বাচন আশা করছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবশ্যই একটি অবাধ নিরপেক্ষ স্বচ্ছ নির্বাচন আশা করছি। কিন্তু সে পরিবেশতো মিনিমামও তৈরি হয়নি। বরং এ বিষয়ে সরকার এবং প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতাই পাচ্ছি না। যত বাধা এবং ঝড় আসুক না কেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর