মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাংকস জানিয়েছেন, ৩০শে ডিসেম্বরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ গণতান্ত্রিক নির্বাচন হওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের মানুষের তার পক্ষেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। এ দেশের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতেও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। তবে ওই কংগ্রেসম্যান ইসলামপন্থিদের উত্থান প্রশ্নে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু ইসলামপন্থি দল বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য এখনও হুমকি! সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, গত বুধবার (১২ই ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে হাডসন ইনস্টিটিউট থিংকট্যাংক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র ও ইসলামিতন্ত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব এ কথা বলেন। মার্কিন ওই আইন প্রণেতা ‘বাংলাদেশে থাকা ধর্মীয় সংগঠনগুলো গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’ শীর্ষক একটি রেজুলেশনও কংগ্রেস জমা দিয়েছেন গত সপ্তাহে। তবে এটি এখনও পাস হয়নি। আলোচনা সভায় কংগ্রেসম্যান ব্যাংকস বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ একটি বিকাশমান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। বিশ্বাঙ্গনেও তার উপস্থিতি বাড়ছে। কিন্তু সেখানে জামায়াতের মতো ইসলামিক দলগুলো দেশের উন্নতির জন্য বাধা। ইন্ডিয়ানা থেকে নির্বাচিত ওই কংগ্রেসম্যান অনুষ্ঠানে প্যানালিস্ট হিসাবে ছিলেন। অনুষ্ঠানে হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক হোসেন হাক্কানি বলেন, ‘এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ একটি সফল অর্থনীতির দেশ। কিন্তু, এর সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। দেশটিতে একটি দল এবং একজন ব্যক্তি ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। অনেকে মনে করেন, স্থিতিশীলতা দিতে গিয়ে তারা গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। আবার আরেকটি গ্রুপ মনে করে, গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতা একইসঙ্গে চলছে।’ বাংলাদেশে অনেক রূপান্তর সাধিত হয়েছে এবং জামায়াতসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দলের উত্থান স্পষ্ট লক্ষণীয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ওই দলগুলোর এই অঞ্চলের এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মৌলবাদী দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও এই দলগুলোর সমর্থন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটাকে অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি বলেও মনে করেন। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের ফল বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই নির্বাচন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণে রাখবে।