× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খামোশ বললেই জনগণ খামোশ হবে না

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খামোশ বললেই কি মানুষের মুখ খামোশ হয়ে যাবে? খামোশ হবে না। মানুষের মুখ খামোশ হবে না, এটা হলো বাস্তব। গতকাল রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায়  তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন , কামাল-মান্না-কাদের সিদ্দিকীসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারা কীভাবে বিএনপির সঙ্গে, অপরাধীদের সঙ্গে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে! তিনি বলেন- যুদ্ধাপরাধী, তাদের স্বজন, দুর্নীতিবাজদের স্বজনদের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।

জনগণকে এদের বিষয়ে সচেতন হতে বলবো। এ অপরাধীরা যেন ভোট না পায়। শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত, আজকে আমরা দেখি তাদের পরিবারের সদস্যদের বিএনপিসহ যে ঐক্য করা হয়েছে তাতে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন যারা এত বড় অপরাধ করলো আর যে পাকিস্তানি বাহিনীকে আমরা পরাজিত করলাম তাদের এই দোসরদের যখন ধানের শীষে মনোনয়ন দেয়া হলো আর এই ধানের শীষ নিয়ে যারা আমাদের সঙ্গে ছিল তারা একই সঙ্গে কীভাবে নির্বাচন করবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর তারা জাতির কাছে দিতে পারবে কিনা? তবে হ্যাঁ, তাদের লজ্জা একটু কম লাগে বলেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে খামোশ বলতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধী, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীর স্বজনসহ বাংলা ভাই ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট।
আজকে ড. কামাল, সুলতান মনসুর, কাদের সিদ্দিকী, মান্নার এত আবেগ দিয়ে জ্ঞানগর্ভ লেখা, এত বিবেক! কোথায় গেল সেই বিবেক? ওই ধানের শীষে তারা আজকে নির্বাচন করছে। রাজনীতিকে কোথায় নামিয়েছে? তারা যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে দেশের ভাগ্যে কি ঘটবে সেটাই আমার প্রশ্ন।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সন্তানদের মধ্যে ডা. নুজহাত চৌধুরী ও শমী কায়সার বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যের শুরুর দিকে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু করেছিল। আইয়ুব খানের আমল থেকেই দেখা মিলিটারি ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য একটি দল গঠন করে এবং প্রহসনের নির্বাচন করে। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানও তাই করেছিল। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন তাতে যুদ্ধাপরাধীদের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার ছিল না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর