পুলিশের লাঠিপেটায় পায়ে গুরুতর আঘাত পাওয়া কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের বিএনপি প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি মো. শরীফুল আলম হাঁটতে পারছেন না। পায়ের এই আঘাতের কারণে গত তিনদিন ধরে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হতে পারছেন না তিনি। এ অবস্থায় বেড়েছে পায়ের ব্যথা। ফলে বাধ্য হয়েই তাঁকে ছুটতে হয়েছে হাসপাতালে। শনিবার দুপুরে হুইল চেয়ারে করে শরীফুল আলমকে নিয়ে যাওয়া হয় বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শরীফুল আলমকে অন্তত ১০ দিন পূর্ণবিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকের এই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই শরীফুল আলম বিকালে যোগ দেন উপজেলা যুবদল নেতা ইকবাল হোসেনের নামাজে জানাজায়। বিকাল ৩টায় উপজেলার ছয়সুতী ইউনিয়নের বড় ছয়সূতী ধোপাখালী মাদরাসা মাঠে এই নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আরেকজনের কাঁধে ভর দিয়ে নামাজে জানাজায় অংশ নেন শরীফুল আলম। নামাজে জানাজায় অংশ নেয়া মুসল্লিরা শরীফুল আলমকে এভাবে নামাজে জানাজায় অংশ নিতে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ড মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করে বেতিয়ারকান্দি গ্রামের বাড়িতে যান তিনি। শরীফুল আলমের বাড়িতে পৌঁছার খবরে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার ভিড় জমান সেখানে। তারা শরীফুল আলমকে সমবেদনা জানান।
এ ব্যাপারে বিএনপি প্রার্থী মো. শরীফুল আলম বলেন, আমাকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে রাখতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছিল। হামলার পর উল্টো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা মামলা এবং ধরপাকড় করেছে। কিন্তু হামলা-মামলায় নেতাকর্মীরা ভিত নয়। এ পরিস্থিতিতে কষ্ট হলেও আমি রোববার থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হবো। ৩০শে ডিসেম্বর ধানের শীষের পক্ষে ব্যালটবিপ্লবের মধ্য দিয়েই ভোটারেরা এই দুঃশাসন, অত্যাচার-নির্যাতনের অবসান ঘটাবেন, ইনশাআল্লাহ।