× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শফি-কয়েস মুখোমুখি

বাংলারজমিন

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার

সিলেট-৩ সংসদীয় আসনে এবার নতুন সংযোজন বালাগঞ্জ উপজেলা। আগে ওই উপজেলা ছিল সিলেট-২ আসনের অধীনে। এবারের নির্বাচনে বালাগঞ্জের দিকে চোখ সব প্রার্থীর। তবে দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ নিয়েও প্রার্থীদের নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। সিলেটের শিল্প অঞ্চল বলে পরিচিত এই এলাকা নিয়ে এবার ভোটের মাঠে সক্রিয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আওয়ামী লীগ চাইছে- উন্নয়ন ধরে রাখতে আবারো নির্বাচিত হতে আর বিএনপির লক্ষ্য হচ্ছে এ আসন পুনরুদ্ধার করা।
সিলেট-৩ আসনের বর্তমান এমপি মাহমুদ উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস এবারো মহাজোটের হয়ে এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। তার সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী। দেড় যুগ ধরে এই আসন তাদের দু’জনের নেতৃত্বে চলেছে।
এবারের নির্বাচনেও তারা দু’জন মুখোমুখি। তবে হিসাব অনেক। আর এই হিসেবে এসে রসদ জোগাচ্ছেন জাতীয় পার্টি ও খেলাফত মজলিসের প্রার্থীরা। দুই বলয়ের দু’জন প্রার্থী রয়েছেন। ভোট কাটাকাটি হবে দু’জনেরই। যদি সুষ্ঠু ভোট হয়। বিএনপির প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ৫০ ভাগ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে এই আসনে নৌকার অস্তিত্ব থাকবে না। ধানের শীষের পক্ষে মানুষের গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। মহাজোট প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী হলেও এ আসনটি তাকে এককভাবে ছাড় দেয়নি জাতীয় পার্টি। এখানে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙল প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন জেলার সদস্য সচিব উসমান আলী। এ আসনটি এক সময় জাতীয় পার্টির ঘাঁটি ছিল। বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। ফলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এই আসনে ভোট টানবে নিজের বাক্সে। উসমান আলীও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন জোরেশোরে। মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের সঙ্গে এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১০ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের দক্ষিণ সুরমা বলয়ের বেশিরভাগ নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে এবার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত চমক দেখান কয়েস এমপিই। তিনি দলীয় টিকিটের পাশাপাশি মহাজোটেরও মনোনয়ন পান। কিন্তু এই নির্বাচনেও এখনো আওয়ামী লীগের একটি অংশ কয়েসের বিপক্ষে অবস্থানে রয়েছে। এদের কাছে টানাই হচ্ছে তার বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সরকারের শাসনে ফেঞ্চুগঞ্জে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকায় নতুন সার কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেই ভোটারের কাছাকাছি যাচ্ছেন কয়েস।
বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় ২০০৮ সালের নির্বাচনে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন শফি আহমদ চৌধুরী। তবে, ২০০১ সাল থেকে তিনি ওই এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন। এবারো মনোনয়ন চেয়েছেন শফি আহমদ চৌধুরী। তার পক্ষে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ মাঠে একাট্টা রয়েছেন। পাশাপাশি তিন থানা বিএনপিসহ ঐকফ্রন্টের নেতারা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। এতে করে শফি আহমদ চৌধুরী স্বল্প সময়ে এবার শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছেন। নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বালাগঞ্জ উপজেলায়ও তার রয়েছে ভোট ব্যাংক। তবে সব কিছু ছাপিয়ে নতুন করে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন শফি আহমদ চৌধুরী। তার আসনে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। শফি আহমদ চৌধুরী অভিযোগ পুলিশ নির্বাচনের পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। পুলিশের কারণে তার তিন উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া রয়েছেন বলে জানান তিনি। শফি চৌধুরীর এ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হয়েছেন জেলার যুগ্ম সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন। মাদরাসা কেন্দ্রিক ভোট খেলাফত মজলিসের ঘরে গেলে এই আসনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন শফি আহমদ চৌধুরী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর