ঝিনাইদহ শহরের এইচএসএস সড়কে অবস্থিত যমুনা টেলিভিশন ও ইনডিপেনডেন্ট প্রতিনিধির কার্যালয়ে শনিবার রাতে হামলার প্রতিবাদে জরুরি সভা করেছে ঝিনাইদহের সাংবাদিকরা। গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাব মিলনায়নে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম রায়হানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক নিজাম জোয়ারদার বাবলু, ইত্তেফাকের বিমল কুমার সাহা, ইনকিলাবের মোস্তফা মাজেদ, ইউএনবির আমিনুর রহমান টুকু, নিউ এজের দেলোয়ার কবীর, কালেরকণ্ঠের এম সাইফুল মাবুদ, শীর্ষনিউজের আসিফ ইকবাল কাজল, প্রথমআলোর আজাদ রহমান, সমকালের মাহমুদ হাসান টিপু, মানবজমিনের আমিনুল ইসলাম লিটন ও বিটিভির পিন্টু লাল দত্ত প্রমুখ। সভায় দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন চালিয়ে প্রশাসনকে বাধ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ‘ঝিনাইদহের চোখ’ যমুনা টেলিভিশন ও ইনডিপেনডেন্ট প্রতিনিধির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে চিহ্নিত দুর্র্বৃত্তরা। এ সময় ডিবিসি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মিল্টন ও দেশের বানী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলামকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারী জহুরুল ইসলাম হিরো ও শামিমুল ইসলাম শামিমসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের নামে মামলা হয়েছে।
ডিবিসি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মিল্টন বাদী হয়ে শনিবার মধ্য রাতে মামলাটি করেন। যমুনা টিভি ও ইনডিপেনডেন্ট প্রত্রিকার প্রতিনিধি আহম্মেদ নাসিম আনসারী জানান, শনিবার রাত সোয়া ৯টায় একদল চিহ্নিত দুর্বৃত্ত তার অফিসে আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল, কম্পিউটার, মডেম ভাঙচুর করে। এ সময় ডিবিসি টেলিভিশনের আব্দুর রহমান মিল্টন ও দেশের বানী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলামকে মারধর করা হয়। তাদের ক্যামেরা, ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল, ভোটার আইডি, পরিচয়পত্র ও চারটি পেইনড্রাইভ লুট করা হয়। এই অফিসটিতে যমুনা ও ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকা ছাড়াও একাত্তর টিভি, ডিবিসি টিভি ও বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিনিধিরা বসে থাকেন। খবর পেয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, র্যাবের কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।