সকল দুঃখ ও অভিমান ভুলে ঐক্যের স্বার্থে অবশেষে জোট মনোনীত খেলাফত প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন। হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরও ডা. জীবনকে বাদ দিয়ে জোটের স্বার্থে এ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয় খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদকে। এরপর থেকে মুষড়ে পড়েন ডা. জীবন ও তার সমর্থকরা। দল ও জোটের স্বার্থে গত শনিবার থেকে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন জীবন। এতে ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের মাঝে নতুনভাবে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। এর আগে আবদুল বাছিত আজাদের বাড়িতে ধানের শীষের পক্ষে এক নির্বাচনী সভায় মিলিত হন বিএনপি ও খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা। সভায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন বিএনপির নেতাকর্মীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা। সভায় মান-অভিমান ভুলে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য উপস্থিত নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করেন ডা. জীবন।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের বিএনপির মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয় ডা. জীবনের। পরবর্তীতে জোট রক্ষা করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনকে বাদ দেয়া হয়। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ডা. জীবনকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী দিলে গণপদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মনোনয়ন পাওয়ার পরও আবদুল বাছেত আজাদ তার দল নিয়ে মাঠে নামলেও তাদের সঙ্গে ছিল না বিএনপি। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমদ আলোচনায় বলেন, এখানে ব্যক্তি কোনো বিষয় না, মার্কাটা হলো মুখ্য। তবে আমাদের আলোচনা সফল হয়েছে।