যশোর-৩ সদর আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, হামলা মামলা আর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে আমাদেরকে নির্বাচনী মাঠ ছাড়া করার পরিকল্পনা করছে সরকারি দলের ক্যাডাররা। তারা চায় না আমরা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকি। তারা আমাদের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ আর ক্যাডাররা একভাষায় কথা বলছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ আটক বাণিজ্যের মাধ্যমে ধানের শীষের কর্মী ও ভোটারদের ঘরছাড়া করছে। তারপরও আমরা নির্বাচন থেকে সরে যাবো না। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে দেহে প্রাণ থাকা পর্যন্ত মাঠে থাকবো।
আপনারা মিডিয়া কর্মীরা শুধু বিবেকের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। সঠিক সংবাদটি প্রকাশ করে দেশবাসীকে সত্য ঘটনাটি জানান। রোববার রাতে যশোর-৩ (সদর) আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই প্রতিশ্রুতি দেন। শহরের একটি অভিজাত হোটেলে এই মতবিনিময় সভা হয়। মতবিনিময়কালে বিএনপি নেতারা ভোটের নামে নিপীড়ন, নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরেন। এই বিষয়ে করণীয় সম্বন্ধে সাংবাদিকদের কাছে পরামর্শ চান প্রার্থী অমিত। সিনিয়র সাংবাদিকরা পরিস্থিতি যত বৈরী হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার পরামর্শ দেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীকে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাজনীতিকদেরই মূল ভূমিকা নিতে হবে বলে মন্তব্য করে তারা এই ক্ষেত্রে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে ভোটের মাঠে সক্রিয় করে তুলতে প্রার্থী তথা রাজনৈতিক দলের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। নিন্দা করেন সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে ভোটের মাঠ উত্তপ্ত করার অপপ্রয়াসকে।
পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অমিত বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা আমৃত্যু মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তার জানাজায় দল-মত নির্বিশেষে মানুষের ঢল তা প্রমাণ করে। আমিও আমার বাবার মতো জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের সঙ্গেই থাকতে চাই।’ মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট কাজী মুনিরুল হুদা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর সভাপতি সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু ও প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের বড় ছেলে শান্তনু ইসলাম সুমিত উপস্থিত ছিলেন।