× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মৌলভীবাজার-৪ /মাঠে নেই শান্তিপদ

বাংলারজমিন

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

নির্বাচনের আর মাত্র ১২ দিন বাকি, আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকরা যখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে তখন এই নির্বাচনী আসনের গণফোরামের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ একেবারেই নেই প্রচারণায়। প্রথমবারের মতো এবারই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন শান্তিপদ ঘোষ। কিন্তু তার কোনো পোস্টার-ব্যানার-লিফলেট শোভা পাচ্ছে না এলাকায়।দুপুর দুইটার পর থেকে সব প্রার্থীর মাইকিংয়ে শহর, গ্রাম-গঞ্জ মুখরিত থাকলেও সেখানেও নেই শান্তিপদের উপস্থিতি। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিনে অনেকটা নিভৃতেই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন গণফোরাম মনোনীত এই প্রার্থী। ওই সময় তার সঙ্গে তেমন নেতা-কর্মীও ছিল না। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার পরও মাঠে নামেননি তিনি।
গত ১৩ই ডিসেম্বর কমলগঞ্জে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) আয়োজিত ‘জনগণের মুখোমুখি প্রার্থীরা’ অনুষ্ঠানে বাকি সব প্রার্থী উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না শান্তিপদ। এদিকে, শান্তিপদ ঘোষকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী। স্থানীয় বিএনপি ও জোটের নেতাকর্মীরা বলেছেন, এ আসনে হাজী মুজিবুকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন দেয়া হলেও গণফোরামের শান্তিপদ ঘোষ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে নিজ দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়েই থেকে যান লড়াইয়ে।
এ ব্যাপারে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব) বলেন, শান্তিপদ ঘোষকে এলাকায় কেউ চেনে না, তবুও তিনি নির্বাচনে কেন থাকলেন বুঝলাম না। আমি দলের হাইকমান্ডকে এ ব্যাপারে জানিয়েছি; দুই প্রার্থী থাকার ব্যাপারটি আমাদের জন্য বিব্রতকর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতা বললেন, যারা তাকে নির্বাচন করতে সমর্থন দিয়েছিল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের টিকিট না পাওয়াতে কেউই আর পাশে নেই। এই অবস্থায় শান্তিপদ ঘোষ হাঁটাচলার সময় যে তার সঙ্গে দু-চারজন লোক থাকবেন, এমন কেউও তার পাশে নেই। সব মিলিয়ে অন্য রকম পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন শান্তিপদ। তিনি একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। এসব ভেবেচিন্তে হয়তো প্রচারে নামছেন না তিনি। কথা হয় এই আসনের ভোটার, চা-দোকানি দুলাল দাশের সঙ্গে। তিনি জানান, এই প্রথম শান্তিবাবুর (শান্তিপদ ঘোষ) নাম
শুনলাম। তিনি যে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন সেটাই তো জানতাম না। একই কথা বললেন, ‘পেপার বিক্রেতা অনাথ ও ব্যবসায়ী রইছ আলী। এ ব্যাপারে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম মেম্বার অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মাঠে না থাকলেও তো মানুষের হৃদয়ে আছি। শুরুতেই আমি যেটা দেখেছিলাম জোয়ারসৃষ্টি হয়েছিল। পাস করার অবস্থা আছিল। এখন তা না থাকায় আমার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীদের বলেছি, পরিস্থিতি অবজারভ বা জরিপ করতে। এর পর নির্বচানী মাঠে থাকব কি না দুই তিনদিনের মধ্যে করণীয় ঠিক করবো। আমি আমার ব্যক্তিগত কৌশলজনিত কারণে প্রচারে নামছি না, আর আমি তো ইলেকশন খেলার লাগি খেলা না। আমি তো নিজে প্রস্তুত ছিলাম না। আমারে প্রস্তুত করানো হয়েছিল। দাঁড় করানো হয়েছিল। বিশাল জন সমর্থন ছিল। প্রতিদিন আমার শত শত ফোন রিসিভ করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার তো ৪২ বছরের খালি ওকালতি না, মানুষের সেবা দিচ্ছি- সেবা দিচ্ছি। সময় আসলে সব বলবো, এখন না।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর