৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে না বলে আশঙ্কা করেছেন ভোলা-৩ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সভাপতি মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (অব.) বীরবিক্রম। গতকাল সন্ধ্যায় তার নির্বাচনী এলাকা লালমোহনের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং মাঠ সৃষ্টি হয়নি। তিনি অবরুদ্ধ হয়ে আছেন, প্রচারে বের হতে পারছেন না। মেজর হাফিজ বলেন, সেনাবাহিনী ছাড়া এই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বসিয়ে দেয়া হয়েছে পছন্দের দলকে বিজয়ী করে দেয়ার জন্য। তবুও জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে তাহলে ধানের শীষ জয় লাভ করবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কি হবে। তাই ক্ষমতায় বসে নির্বাচন দিয়েছেন।
সারা পৃথিবীতে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন হয়। একমাত্র বাংলাদেশেই তার ব্যতিক্রম। পুলিশ তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে থাকে। সন্ত্রাসে চেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ভোলা-৩ আসনে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ২শ’ সন্ত্রাসী বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে এসেছে। লালমোহন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভরপুর। নির্বাচনী এলাকায় আসতে বাধা দেয়া নিয়ে হাফিজ বলেন, আমি গত ১২ তারিখে লঞ্চে উঠবো, ব্যাগ নিয়ে রওয়ানা হয়েছি। গুলিস্তান এসে শুনলাম লঞ্চ ভাঙচুর করে নদীর মাঝে নিয়ে গেছে। ২দিন পর আবার পুলিশ প্রটোকলে এলাকায় এলাম। আমাকে ৪০ হাজার নেতা-কর্মী, সমর্থক লঞ্চঘাট থেকে অভ্যর্থনা জানায়।
আমাকে আনার জন্য গাড়িটিও ভেঙে দিয়েছে। উল্টো পুলিশ গাড়ির ড্রাইভারসহ আমার দুই ভাতিজাকে থানায় নিয়ে যায়। এলাকায় আসার পর কর্মীদের বাড়ি ফেরার সময় পথের মধ্যে কোপানো হয়।