চলমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকার জন্য যে ধরনের সমতল অবস্থা প্রয়োজন তা এখনো তৈরি হয়নি বলে দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন বাম জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাম জোটের প্রার্থীদের ওপর হামলা করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের প্রার্থীরা পোস্টার বা নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে টিকে থাকার জন্য নির্বাচন কমিশনের শক্তিশালী ভূমিকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা এখনো কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু কমিশনের ‘বডি ল্যাঙগুয়েজ’ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য পর্যাপ্ত নয়। যেসব নির্বাচনী এলাকায় রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা শক্তিশালী সেখানে অনিয়মের ঘটনা তুলনামূলক কম।
আমাদের এ বক্তেব্যের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনও একমত।
সচিব বরাবর লিখিত চিঠি ও নিজেদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিচয়ধারী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও হুমকি প্রদান করছে। কোথাও কোথাও হামলার ঘটনাও ঘটছে। ইতিমধ্যেই সারা দেশের ১৩টি আসন- খুলনা-৩, নেত্রকোনা-৪, বরিশাল-৫, কুষ্টিয়া-৩, জামালপুর-২, দিনাজপুর-৪, সাতক্ষীরা-১, পটুয়াখালী-৪, ঢাকা-৬, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে বাম জোটের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, ব্যানার নামিয়ে ফেলা, হুমকি এমনকি হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে জরুরি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনকে অনুরোধ করেছেন বাম জোট। শরিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বাচ্চু ভূঁইয়া, সিপিবি নেতা হাফিজ আদনান রিয়াদসহ প্রমুখ।