রাশিয়া ও চীনকে মোকাবেলায় স্টিলথ যুদ্ধবিমান, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও আরো বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধি করতে চলেছে জাপান। আগামী ৫ বছরের মধ্যেই দেশ দুটিকে মোকাবেলায় এসব ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করতে নতুন এ পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। জাপানের দুটি সরকারি প্রতিরক্ষা পত্রিকায় এ খবর প্রকাশ করা হয়। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন যোগানোও এর অন্যতম কারণ হিসেবে জানিয়েছে সংবাদপত্রগুলো।
এই পরিকল্পনা থেকে জাপানের আঞ্চলিক পরাশক্তি হয়ে ওঠার আগ্রহের কথাই জানান দেয়। চীন ও এর মিত্র রাশিয়া এ অঞ্চলে জাপানের জন্য সবথেকে বড় হুমকি। মঙ্গলবার ১০ বছর ব্যাপী এক প্রতিরক্ষা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। প্রকল্পের রূপরেখায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র।
কিন্তু জাপানের জন্য সবথেকে বড় হুমকি আঞ্চলিক শক্তি চীন ও রাশিয়া। সেখানে আরো জানানো হয়েছে, চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কারণেই জাপান নতুন করে তাদের প্রতিরক্ষা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। চীন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। দেশটি জাপানের সমুদ্রসীমার কাছে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। অপরদিকে, উত্তর কোরিয়া এখনো তার পরমাণু বোমা ধ্বংসের কোনো ¯পষ্ট ঘোষণা দেয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দখল করা জাপানি দ্বীপে এখনো রাশিয়া সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। তাই, এই তিন দেশকে মোকাবেলায় সামরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও জানানো হয়েছে।