এমনিতেই শীত জেঁকে বসেছে তার উপর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি কপালের ভাঁজ দীর্ঘ করেছে প্রার্থীদের। সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মহা ফাঁপরে ফেলেছে প্রার্থী-সমর্থকদের। কুয়াশা আর বৃষ্টিতে সাঁটানো হাজার হাজার পোস্টার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পোয়াবার ছাপাখানার। পলিথিনে মোড়ানে পোস্টারের চাহিদা বেড়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে খুলি বৈঠক পথসভা। বৈরী আবহাওয়ায় কুপকাত সমর্থকরাও। তার পরেও থেমে নেই নির্বাচনি প্রচারণা। শীত-বৃষ্টিতে জবুথবু অবস্থায় ছুটে চলছেন প্রার্থী-সমর্থকরা।
কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত অবধি এ দরজা থেকে ও দরজায় কড়া নেড়েই চলেছেন অনবরত প্রার্থী-সমর্থকরা। কাকে দিয়ে কাকে বাগে আনা যায়। কোন দেওয়ানীক ধরলে কোন গ্রাম ঠিক হয়। এমন সব গ্রাম্য পরিকল্পনা নিয়ে ভোটের মাঠে এখন ব্যস্ত সব মহলই। এদিকে দুপুর হতে না হতেই আঞ্চলিক ভাষায় নানান ফিরিস্তি তুলে ধরে ভোটারদের মন জয়ের আপ্রাণ চেষ্টা প্রচারম্যানদের। ‘নূর-জামান হামার বাড়ির ছইল, ভোট দিনতা কি হইল’ ‘আকাশেতে ওড়ে চিল, হামার মার্কাত মারো ছিল’ ‘মাও মোশি একাদশী, ভোট দিবেন বেশি বেশি’ ‘বাপ-বেটি বাঁধো জোট, হামার মার্কাত দেও ভোট’। মন ভোলানো এমন সব নানা সুরেলা কণ্ঠের প্রচারণায় এখন মুখর গোটা জেলার গাঁও-গ্রাম। তবে নীলফামারী-২ সদর আসনে ভোটের মাঠ যেন আওয়ামী লীগের দখলে। বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর যখন দিন-রাত সমানে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তখন প্রধান প্রতিপক্ষ ধানের শীষ প্রতীকের জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মনিরুজ্জামান মন্টু অনেকটা নীরবে-নিভৃতেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। কোন শোরগোল নেই ধানে শীষের। নেই তেমন প্রচার প্রচারণাও। ঐক্যফ্রন্টের দু’একজন নেতা ছাড়া তার সঙ্গে কাউকেই চোখে পড়ছে না নির্বাচনী গণসংযোগে।