একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সমর্থন জানিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক লাঙ্গল মার্কার এমপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। গতকাল দুপুর ৩টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির প্রার্থী উপজেলার অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মীসহ নৌকা মার্কাকে সমর্থন জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বাদল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর গোলাম ছারওয়ার প্রমুখ। জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ মেম্বার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজ সিকদার, জাতীয় পার্টির নেতা ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ রুবেল, বসুরহাট পৌরসভা জাতীয় পার্টির নেতা হেকিম শহিদ উল্যাহ, নুরুল হক সবুজ, বসুরহাট পৌরসভা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জামিল মাছুম প্রমুখ। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বপনের হাতে নৌকার প্রতীক তুলে দেন এবং স্বপনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সারা বাংলাদেশের মতো নোয়াখালী-৫ আসনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ওবায়দুল কাদেরের নৌকা মার্কা সমর্থনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। তিনি আরো বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সুখে দুঃখে পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
রাজশাহীতে জীবন শঙ্কায় বিএনপি প্রার্থীরা
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে : প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছেন রাজশাহীতে মনোনীত বিএনপির প্রার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রাজশাহী-২ (সদর) আসনের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, নির্যাতন, হুমকি-ধামকি, মামলা ও গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। এতে বিএনপির প্রার্থীদের জীবন শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। একের পর এক এ সব অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় নি। ফলে এই প্রধান নির্বাচন কমিশন অযোগ্য। তিনি তামাশার নির্বাচন আয়োজন করেছেন। তার মাধ্যমে নিরোপক্ষ নির্বাচন সম্ভাব নয়। তাই আজকের মধ্যে তার পদত্যাগ দাবি করছি।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-৩ আসনের প্রার্থী শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী-৪ আসনের প্রার্থী আবু হেনা, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ। রাজশাহী-৫ আসনে প্রার্থিতা নিয়ে জটিলতা ও রাজশাহী-৬ আসনের প্রার্থী কারাগারে থাকায় তারা সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারেন নি বলে জানান মিজানুর রহমান মিনু।