ফোনালাপে সহিংসতার নির্দেশনার অভিযোগে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও তাঁতী দলের আঞ্চলিক নেতা নুর ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মেহেদী রুমী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি এবং নুর ইসলাম কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়ন তাঁতী দলের আঞ্চলিক নেতা। গতকাল কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আমলি আদালতে এই মামলা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহ. মাসুদুজ্জামান এ মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা ও কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন দুলাল। সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ৩১ ধারায় মামলা করেন তিনি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী কুষ্টিয়া কোর্টের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আবদুল মোতালেব বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে কুমারখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বাদী আকরাম হোসেন দুলাল আরজিতে বলেন, গত ১৬শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া- ৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর সঙ্গে যদুবয়রা ইউনিয়ন তাঁতী দলের নেতা নূর ইসলামের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সেখানে তাঁতী দল নেতাকে সহিংসতার নির্দেশ দেন তিনি। ফোনালাপের সংবাদটি ডিবিসি নিউজ ও ৭১ টেলিভিশন এ প্রচারিত হয়েছে।
ফোনালাপে তাঁতী দল নেতা নূর ইসলামকে যে সহিংসতার কথা বিএনপি নেতা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেছেন তা অপরাধ। তাই তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর ১(ক) এবং ৩১(১) ধারায় অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বিবৃতি দিয়ে জানান, আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও নির্বাচনী প্রচার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি ও নির্বাচন থেকে আমাকে দূরে রাখার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক এ বিকৃত ফোনালাপের ভিডিও তৈরি করা হয়েছে এবং তা প্রচার করা হচ্ছে। এটি রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।