তৃতীয় দিন পার হলেও লতিফ সিদ্দিকীর অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। বৃষ্টি বিঘ্নিত কারণে তিনি বেলা ১১টার দিকে তাঁবু ছেড়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের পাশে টিনের ছাউনিতে গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. শরীফ হোসেন খান জানিয়েছেন আমরণ অনশনের কারণে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, হাসপাতালের চার সদস্যের একটি দল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে দেখেছেন। অনশনের কারণে তিনি ওষুধও খাচ্ছেন না। এতে তার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম খসরু বলেন, লতিফ সিদ্দিকী ওষুধ না খাওয়ায় অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তার দাবিগুলো মানা না হলে বুধবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে তার নিষেধের কারণে পরিবারের কোনও সদস্য এপর্যন্ত লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করেননি। রোবার কালিহাতীতে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে হামলা করা হয়। এর প্রতিবাদ, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও কালিহাতী থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে তিনি টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট এবং আমরণ অনশন শুরু করেন।