× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য অসত্য’

শেষের পাতা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার

অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা হবে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, পাহাড়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই। মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি সফরে এসে তিন পার্বত্য জেলার সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার বাহিনীসহ রিটার্নিং কর্মকর্তাগণসহ সবক’টি থানার অফিসার ইনচার্জ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। রাঙ্গামাটি জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সিইসি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বিশেষায়িত এলাকা, এই এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান ও স্থানীয় জনসাধারণের প্রতি সম্মান রেখে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় উক্ত নির্বাচনে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য পাহাড়ের সকল স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে সারাদেশে যেভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছে, পাহাড়েও একইভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। প্রধান নির্বাচন কশিনার বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন, প্রয়োজন অনুসারে হেলিকপ্টার ব্যবহারসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু রাখা হবে।

এদিকে, সোমবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার কর্তৃক দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখনো পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি মর্মে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছিলো এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন স্বাধীন মতপ্রকাশ করতেই পারে। এটা একেবারেই অসত্য কথা।
দেশে এখন সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

রাঙ্গামাটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগে বিগত নির্বাচনে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিস্থ ২৯৯ আসনে ৫৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোট কারচুপি করা হয়েছে, এবার এসবের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন বিগত ২০১৪ সালের নির্বাচন সে রকম অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তবে এবারে আমাকে সকলেই আশ্বস্ত করেছে এবং সেনাবাহিনী-বিজিবি এরা প্রত্যেকে গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে গিয়ে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে যে, আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবেন, আমরা সেই চেষ্টাই করছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সকলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্র্বাচন উপহার দিতে পারবো আমরা। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনা বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা নাহলেও যেখানেই ঝামেলা সৃষ্টি হবে সেখানে তারা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। এই ক্ষমতা তাদের দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাঙ্গামাটিস্থ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশনার (অব.) বিগ্রেডিয়ার  জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন, নির্বাচন কমিশন সচিব  হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম পুলিশের ডিআইজি  গোলাম ফারুকসহ তিন পার্বত্য জেলার  সেনাবাহিনীর তিনটি রিজিয়নের তিনজন বিগ্রেড কমান্ডার, তিন জেলা প্রশাসক, দুইজন সেক্টর কমান্ডার, তিন পুলিশ সুপারসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে কর্মরত সকল উপজেলার নির্বাচনী কর্মকর্তা, ইউএনওসহ থানাগুলোর অফিসার ইনচার্জরা এ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর