× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে কম্পিউটারে অবাধ নজরদারির প্রতিবাদে সোচ্চার বিরোধিরা

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) ডিসেম্বর ২২, ২০১৮, শনিবার, ৪:১৫ পূর্বাহ্ন

ভারত সরকার কম্পিউটার-সহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন ক্ষেত্রের তথ্য জানার জন্য যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বিরোধী দলগুলিসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। সংসদেও বিরোধিরা লাগামছাড়া নজরদারির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। গত বৃহষ্পতিবার রাতে এক নির্দেশিকা জারি করে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ’দেশদ্রোহী’ সন্দেহে যে কোনও ল্যাপটপ, কম্পিউটারে আড়ি পাততে পারবে আইবি থেকে দিল্লি পুলিশ, এই ধরণের ১০টি সংস্থা। দেখে নিতে পারবে আমজনতার কম্পিউটারের সব তথ্য। নির্দেশিকায় আলাদা করে মোবাইলের কথা বলা না হলেও, মন্ত্রক জানিয়েছে, স্মার্টফোনগুলি কার্যত কম্পিউটার হওয়ায় নজরদারির আওতায় থাকবে সেগুলিও। জাতীয় নিরাপত্তার ছুতোয় আসলে যা ব্যক্তিপরিসরে হস্তক্ষেপ বলে দাবি বিরোধিদের। তাদের আরও অভিযোগ, ভোটের ঠিক আগে শোয়ার ঘরেও আড়ি পাতা শুরু করেছে মোদী সরকার। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আসলে যে ভীত একনায়ক, তা দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিহিংসায় এ সব কাজ হচ্ছে। এক জন মানুষের সব ব্যক্তিগত তথ্য কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ তো স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও পরাধীন হয়ে যাওয়া। সরকারের কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে, তাতে আমি শঙ্কিত। এতে গণতান্ত্রিক অধিকার কী আর থাকে ? মমতা আরও অভিযোগ করেছেন, যেভাবে সব কিছু চলছে, তাতে তথ্য জানতে এ বার তো ব্রেনস্ক্যানও শুরু করে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। শীতের ছুটির পরেই সরকারের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন-এর মতো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বলেছেন, এই নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘন করেছে সরকার। ইতিপূর্বে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিপরিসরের অধিকার জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। একজন মানুষ কী খাবেন বা কার সঙ্গে মেলামেশা করবেন তা ঠিক করে দেওয়ার অধিকার রাষ্ট্রের নেই। ব্যক্তিপরিসরের স্বাধীনতা মৌলিক অধিকার। আর আইটি আইনের ৬৯-এ ধারায় বলা হয়েছে, কারো উপর নজরদারি করতে হলে নির্দিষ্ট কারণ দেখাতে হবে। তা না হলে এটি আইন ও সংবিধান বিরোধী। তাই এই নির্দেশিকা নিয়ে ব্যক্তি পরিসরে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাই তীব্র হয়ে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ইন্টারনেট-স্মার্টফোন, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য আদানপ্রদান সরকারি নজরদারির আওতায় আসার অর্থই হল সেই ব্যক্তিপরিসরে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর